স্টাফ রিপোর্টার :: কেউ যদি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে একজন নেতা হিসেবে তাকে সঠিক পথে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব। ক্ষমতার উৎস জনগণ। আমরা ক্ষমতায় যাইনি, যাব কিনা জানি না। তখনই ক্ষমতায় যেতে পারব, যখন জনগণের সমর্থন পাব।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনের যে নির্বাচন হবে এত সহজ হবে না। এই নির্বাচন বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। মানুষের ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন হয়েছে।

গতকাল দিনব্যাপী খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত ‘রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপি প্রদত্ত ৩১ দফা বিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় এবং খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাকর্মী অংশ নেন।

তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে ফ্যামিলি কার্ড এবং কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড তৈরি করব। ফ্যামিলি কার্ডটি হবে পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে। এতে তার পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বাড়বে। একই সঙ্গে কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড করা হবে। যা প্রতি মৌসুমে কৃষকের সার-বীজ বা আর্থিক সহযোগিতা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করবে।

তারেক রহমান নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ সব মানুষের জন্য। গত কিছুদিন সমাজের কিছু ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছে। গত ৫ মাস আগেও তারা বলেনি। কিন্তু বিএনপি ২ বছর আগে থেকে বলছে। বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। ৩১ দফা তারই প্রমাণ। গত ৩-৪ মাস সংস্কারের যে কথা বলছে। তার সবকিছুই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে। এই ৩১ দফা শুধু বিএনপি’র তাই নয়, বাংলাদেশের পক্ষে গণতান্ত্রিক সব দলের।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপনারা সংগ্রাম করে যেভাবে টিকে ছিলেন, তার থেকে সহজ হবে এই কাজটা জনগণের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এত কঠিন পথ যদি আপনারা পাড়ি দিয়ে আসতে সক্ষম হয়ে থাকেন। তাহলে একটু কষ্ট করলেও ৩১ দফা আমরা জনগণের মধ্যে নিয়ে যেতে পারি।

তারেক রহমান বলেন, নারীর যোগ্যতা ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করা উচিত। এটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা উচিত। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারীদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ফ্রি করে দিয়েছিলেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করব। প্রান্তিক মানুষকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মিনিমাম সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বৃক্ষরোপণ, নদী ও খাল খনন করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছেলেমেয়েকে খেলাধুলায়ও এগিয়ে নেয়া হবে। এসময় তিনি ৩১ দফার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন নেতাকর্মীর কাছে। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১১টি ইউনিটের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে ময়মনসিংহ বিভাগের ৭টি ইউনিটের ৫১২ প্রশিক্ষণার্থী নেতাদের অংশগ্রহণে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য মো. নজরুল ইসলাম খান।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *