ডায়ালসিলেট ডেস্ক :বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। আপনাকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যেভাবে চলা দরকার, সেভাবে চলুন। দেশ ও দেশের মানুষকে সামনে রেখে গত ১৫ থেকে  ১৬ বছর আমরা যে কথাগুলো বলেছি, সেই মোতাবেক কথার পালা শেষ, এখন কাজের পালা শুরু। কাজ শুরু করার সময় এসেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

রোববার রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন বড়ুয়ার আলাউদ্দিন দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খিলক্ষেত থানা বিএনপির উদ্যোগে এক কর্মীসভা ও কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর আড়াইটায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে এবং জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে কর্মশালা শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৫টায়। ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন ২৬টি থানার ২৬ দিনের কর্মীসভা ও দলের ৩১ দফা নিয়ে এই কর্মশালা খিলক্ষেত থেকে শুরু হয়। আগামী ৩রা মার্চ বনানী থানায় কর্মশালায় মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে। তারেক রহমান বলেন, হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান না। ঠিক একইভাবে সব মানুষই একরকম না। আমাদের মধ্যে হয়তোবা কিছু কিছু মানুষ থাকতে পারে, আমাদের কিছু সহকর্মী থাকতে পারে, যারা কিছু বিষয়ে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছে। স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পরে গত তিন-চার মাসে আমাদের কিছু কিছু সহকর্মী, নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়েছে। এই বিভ্রান্তির কারণে তারা এমন কিছু কাজ করছে, যে কাজগুলো মানুষ পছন্দ করছে না।

তিনি বলেন, আজকে আপনাদের পরিষ্কার একটি কথা বলি-আপনার লক্ষ্য যদি অন্যকিছু হয়ে থাকে, দলের আদর্শকে রক্ষার লক্ষ্য যদি না হয়ে থাকে, দু’দিন পরে আপনি ছিটকে পড়ে যাবেন। দল থেকে ছিটকে পড়ে যাবেন, মানুষের সমর্থন থেকে ছিটকে পড়ে যাবেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনি আজকে বিএনপির একজন নেতা বা কর্মী বলে মানুষের কাছে গেলে সম্মান পান। আপনাকে মানুষ চেনে বিএনপির একজন নেতা হিসেবে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে আপনাকে সালাম দেয়। আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের সমর্থন ও আস্থা অর্জন। গত ১৬-১৭ বছর অবর্ণনীয় নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আপনারা এসেছেন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপনারা নির্যাতন সহ্য করেছেন। মানুষের ভোটের অধিকার, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আপনারা যুদ্ধ করেছেন। কতিপয় ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে পারে, নিশ্চয়ই এ কারণে আপনারা অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেননি।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আপনারা প্রত্যেকেই বিএনপির প্রতিনিধি। কারণ ঢাকায় মানুষ যা চিন্তা করে, যা করে, সেটাই সারা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যায়। কাজেই আপনাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে-দলের ভাবমূর্তিকে ধরে রাখা। সারা দেশের মানুষের বিএনপির ওপর যে আস্থা, তার অর্ধেকটাই ধরে রাখার দায়িত্ব আপনাদের। দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেগুলো আপনাদেরই জনগণের সামনে নিয়ে যেতে হবে। এই কাজটা যদি আমরা সফলভাবে করতে পারি তাহলে আমরা জনগণের সমর্থন ভালোভালো অর্জনে সক্ষম হবো।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *