ডায়ালসিলেট ডেস্ক:বিজয় দিবসের দিন সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত আছে। মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময় ভোট আয়োজন করতে প্রস্তুত আছে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য যেসব প্রস্তুতির দরকার তার সবই আমাদের রয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময় ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইন্ডিকেশন দিয়েছেন সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার রাজনৈতিক দল- তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছেন। তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তরের কথা বলেছেন। কাজেই আমরা সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছি। এই মুহূর্তে সঙ্গে নির্বাচনে কোনও চিন্তা আমাদের নেই।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রশ্নে সিইসি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। অতীতের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়, কোনো প্রার্থীকে জেতানোর জন্য বা কাউকে হারানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে কোনো সীমানা পুনর্নির্ধারণ হয়ে থাকে। আমরা সেটা অবশ্যই দেখব। ২০০১ সালের সীমানায় হবে না, বর্তমানের ভিত্তিতে হবে। বিষয়টি তা নয়। আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে এটা করব।

বিদ্যমান ভোটার তালিকায় নির্বাচন হবে নাকি নতুন ভোটার তালিকা করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, দুই মাস- আমাদের হাতে একটি নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আসবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। অনেকে মারা গেছেন; অনেকে বাদ পড়েছেন; অনেক বিদেশিরা ভোটার হয়েছেন; ভোটারের ডুপ্লিকেশন হয়েছে- এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা তালিকা সংশোধন করব। ওই সংশোধিত তালিকার আলোকেই ভোট হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *