ডায়ালসিলেট ডেস্ক:চিনি ও সোনা চোরাচালানকারী, জাল টাকার ব্যবসায়ী, গরু চুরির সিন্ডিকেটের গড ফাদার বিয়ানীবাজার উপজেলা যুবলীগ নেতা মানবপাচারকারী রুহেল আহমদের মিথ্যা মামলা, উদ্দেশ্যমুলক হয়রানি, সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি ও বাড়িতে হামলায় শিকার হয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের ৫ পরিবার ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ৫ পরিবারের মধ্যে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমের দুই ছেলে আদম পাচারকারী রুহেল আহমদের জিগাংসার শিকার হয়ে জেল খাটছেন। আমি রেজাউর রহমান বৃদ্ধা হাজেরা বেগমের ছোট ভাই, তাঁর পক্ষে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, চলতি বছরের জুলাই মাসে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমের পুত্রদ্বয় তানভীর আহমদ, প্রবাসী কবির আহমদ তাদের আপন চাচা লুকুছ মিয়ার কাছ থেকে বাড়ির লাগোয়া এক বিঘা সাত শতক জমি ক্রয় করেন। এ জমি ক্রয় করতে নানাভাবে চাপ ও বল প্রয়োগ করে ছিলো অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জনকারি রুহেল আহমদ। সে সময় তার সাথে আমার পুত্রদ্বয় তানভীর আহমদ ও কবির আহমদ বাড়ির লাগোয়া জায়গা চাচার কাছ থেকে তারা কিনতে চান, রুহেল যেন তাতে কোন বাধা প্রদান না করেন কিংবা কোনভাবে প্ররোচিত না করেন এবং সামাজিকভাবে আমার পুত্রদ্বয়কে সহযোগিতার করার আহবান জানান। কিন্তু এ জায়গার প্রতি রুহেল আহমদে লোভী হয়ে উঠে বিভিন্ন মাধ্যমে প্ররোচিত করে জায়গা কিনতে চান। এক পর্যায়ে তিনি ৭ লাখ টাকার এ জায়গা ১৪ লাখ টাকা আমার দেবর লুকুছ মিয়াকে অফার করেন। পরে স্বজনদের সহযোহিতায় লুকুছ মিয়ার সাথে রফাদফা করে অনেক দাম দিয়ে জায়গাটি আমার পুত্ররা কিনে নেন। এরপর থেকে রুহেল আহমদ তার সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার পুত্রদ্বয়কে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। জাতির বিবেক সাংবাদিকরা, আপনারা অবহিত রয়েছেন রুহেল আহমদ একজন আদম পাচারকারি। ইতিপূর্বে গরু চুরির সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকা, জাল টাকার ব্যবসা, চিনি ও স্বর্ণ চোরাচালানসহ নানা অবৈধভাবে সে টাকা উপার্জন করে এলাকার নিরিহ লোকদের উপর সে, কার ভাই ও কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন করছে। আমার পরিবার ও আমার পুত্ররা এলাকার স্বজ্জন বলে পরিচিত। আমারপুত্ররাও তার হামলা, নির্যাতন ও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। বর্তমানে রুহেল আহমদের ভাই সোহেল আহমদ বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে আমার দুই পুত্র তানভীর আহমদ ও মাহিম আহমদসহ এলাকার নিরিহ মানুষকে হয়রানি, নির্যাতন ও অপদস্থ করে আসছে। বিগত ২৭ অক্টোবর ঘুঙ্গাদিয়া এলাকায় রুহেল আহমদের উপর কে বা কারা হামলা চালিয়ে আহত করে। আমরা লোকমূখে শোনেছি আদমপাচারের টাকা দেয়া নেয়া নিয়ে তার উপর হামলা হয়েছে। এ সময় আমার ছেলেরা বিয়ানীবাজার পৌরশহরের কর্মস্থলে ছিল। আমার ছেলেরা এসব কাজে জড়িত না থাকায় তারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে। কিন্তু পূর্ব শত্রুতা ও ছেলেদের উপর আক্রোশ বশত মামলার আসামী করা হয়। বর্তমানে ছেলেরা না থাকায় পুত্রবধু ও নাতি নাতনিদেও নিরাপত্তহীনতায় ভোগছি। প্রতি রাতে রুহেল আহমদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢিল ছুড়ে আতংক ছড়ায়। ভয়ে পুত্র বধু ও নাতিদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি বৃদ্ধ অবস্থায় একা একা ভয়ে প্রতিটি রাত পার করছি। সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ, আপনারা ঘুঙ্গাদিয়া এলাকায় গিয়ে তথ্য ও অনুসন্ধান করলে জানতে পারবেন রুহেল ও তার ভাইদের কারণে এলাকার অনেক নিরিহ পরিবার ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে আছে। অনেকের বাড়ির যোগাযোগ রাস্থা সে প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। কানাডা ইউরোপসহ বিদেশে পাঠানোর নামে অনেকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যুবলীগ নেতা রুহেল। প্রতারিত ব্যক্তিরা তার কাছে টাকা চাইতে গেলে মারধরের হুমকি দেয়। গত ২৭ অক্টোবর বিয়ানীবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় রুহেল আহমদের কাছ থেকে প্রতারণা শিকার এসব ব্যক্তিরাও মামলার আসামী। এলাকায় প্রচার করে পুলিশ, প্রশাসনে গিয়ে কোন কাজ হবে না। প্রশাসন তার পকেটে বলে ধম্ব প্রকাশ করছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর দেশ এখন স্বৈরাচার মুক্ত। অথচ যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত রুহেল আহমদ কোন শক্তি বলে নিরিহ এলাকাবাসীকে মামলা, হামলা ও নির্যাতন করে এলাকায় ধম্বভক্তি ছড়াচ্ছে। তার খুঁটির জোর কোথায়। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সে নৌকার প্রার্থী ৫/৬টি হত্যা মামলার আসামী নুরুল ইসলাম নাহিদের হয়ে এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছে। গত উপজেলা নির্বাচনে একই ভাবে অনেক মামলার আসামী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লবের হয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে। অথচ বর্তমান অন্তর্ভর্তিকালীন সরকারের সময় সে এলাকায় বলে বেড়ায় থানা পুলিশ- উপজেলা প্রশাসন তার পকেটে। সুপ্রিয় সাংবাদিকবৃন্ধ, আপনারদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমার আর্জি, কালো টাকার মালিক যুবলীগ নেতা রুহেল আহমদ কি আইনের উর্ধ্বে। তার সমস্ত অন্যায়, অবিচার, চোরাচালান, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন সব কিছু আইন সম্মত। বৈধ পথে মাত্র দুই বছরের কিভাবে একজন ব্যক্তি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে, বাড়ি গাড়ি, জমি জমা করতে পারে। আমি প্রশাসন, দুদকসহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে সকল দেশপ্রেমিক প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের কাছে আবেদন করছি রুহেল আহমদের অটেল সম্পদের খোঁজ নেন, দেখবেন তলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, চোরাচালানকারি ও আদম পাচারকারি রুহেল আহমদ ও তার ভাই সোহেল আহমদের আক্রোশের শিকার আমার দুই পুত্র তানভীর আহমদ ও মাহিম আহমদসহ এলাকার নিরিহ লোকদের উপর থেকে পিআইবি কিংবা ডিভি পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত করে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি এবং জেল থেকে মুক্তি প্রার্থনা করছি। আমার বিশ^াস প্রশাসনের উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলরা মানবিকভাবে আমার আর্জিটি বিবেচনা করে আমার পুত্রদ্বয়সহ নিরিহ এলাকাবাসীকে রুহেলের নির্যাতন থেকে মুক্তি দেবেন। এবং তার অন্যায় অত্যাচার, অবিচার ও হামলা-মামলার তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবেন। পরিশেষে আমার আহবানে জাতির বিবেক সাংবাদিকবৃন্দ আমাকে সংবাদ সম্মেলন করার সুযোগ দেয়ায় এবং আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করে আমার লিখিত বক্তব্য শোনা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার বিশ^াস আপনাদের মাধ্যমে দেশ, সমাজ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলরা পুরো ঘটনা অবহিত হয়ে যুবলীগ নেতা রুহেল আহমদ ও সোহেল আহমদসহ তাদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাদের ৫ পরিবারকে মুক্তি দেবেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *