ডায়ালসিলেট::’আয়তন অনুযায়ী মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট নেই। ১৪৪ একরের এমসি কলেজে অপ্রতুল সীমানা প্রাচীর এবং আলোর স্বল্পতার বিষয়টিও নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট ছাড়ার আগে প্রেস ব্রিফিং করে এমন তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শহিদুল খবির চৌধুরী।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার সিলেটে আসে। দুইদিন সিলেটে থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ছাড়াও কলেজ অধ্যক্ষ, শিক্ষক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ, ভিকটিম ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন।
বুধবার রাতেই তারা ঢাকায় ফিরে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবেন। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
শাহিদুল খবির চৌধুরী বলেন, এ রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণধর্ষণ একটি নিন্দনীয় ঘটনা। যেহেতু আমরা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত, তাই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক এবং সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে। আমরা এমসি কলেজের প্রশাসন অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। আজ আমরা সিলেট থেকে চলে যাবো এবং ৭ দিনের ভিতরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।
তিনি বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই নির্যাতিতা নারীর সঙ্গে কথা বলাটা খুব সহজ হয়নি। তবু আমরা চেষ্টা করেছি কথা বলার। তদন্তের স্বার্থে এটি করা দরকার ছিল।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, করেনাকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাত্রাবাস খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। এ সময়ে ছাত্রাবাস খোলা রাখার সুযোগ নেই। এ বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।
এছাড়াও হোস্টেলের কক্ষে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টিও তারা জেনেছেন। এ ঘটনায় তারা মূলতঃ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও অবস্থান বিষয়ে তদন্ত করছেন।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে এমসি কলেজ বন্ধ থাকার মধ্যেও ছাত্রাবাস খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের থাকতে দেওয়া নিয়ে কলেজ প্রশাসন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিলেটে আসে।
শাহেদুল খবির চৌধুরী ছাড়াও তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন ওই বোর্ডের সহকারী পরিচালক কলেজ-১ প্রফেসর লোকমান আহমদ এবং সিলেট মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আঞ্চলিক পরিচালক নূর এ আলম।

