ডায়ালসিলেট ডেস্ক :ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে সকলকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। একইসঙ্গে দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে দেশের আলেম সমাজকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রোববার রাজধানীর মিরপুর-১৪-এর গ্রান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে ঢাকা-১৫ আসনের ওলামায়ে কেরাম ও ইয়াতিমদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, পতিত আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন ও দুঃশাসন, সে সময় দেশ বরেণ্য আলেম-ওলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের হাতে হ্যান্ডকাপ আর পায়ে ছিল ডাণ্ডাবেরী। অথচ চোর, ডাকাত, অপরাধী ও সমাজ বিরোধীরা গোটা দেশ নির্বিঘ্নে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।
নিজের গ্রেপ্তারের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো গভীর রাতে। কিন্তু আমাকে আয়না ঘরে রাখা না হলেও আমি তা দেখেছি। আমরা এমনভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো যেন তারা কোন ভয়ঙ্কর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রথম কয়েক দিন কেরানীগঞ্জ কারাগারে রাখার পর আমিসহ ৩৮ জন বরেণ্য আলেমকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বদলী করা হয়। গাড়িতে আমি ছাড়া প্রত্যেকের হাতে হ্যান্ডকাপ ও পায়ে বেড়ি পড়া দেখে আমি কেঁদেছি। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ দিয়েছেন’।
জামায়াত আমীর বলেন, এদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নানা ধর্মের মানুষের বসবাস। তারা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। মানুষ হিসাবে সকলের কল্যাণে কাজ করা আমাদের কর্তব্য। ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলের নিরাপত্তার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে। বিপ্লবোত্তর অনেক কিছু হবে বলে কল্পকাহিনি প্রচার করা হলেও তার ১ ভাগও হয়নি। যতটুকু হয়েছে সর্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা তাও সমর্থন করি না। মূলত এদেশে কোন বৈষম্যের স্থান দেয়া হবে না।
উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।

