Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়াল সিলেট ডেস্ক:: বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ছোট-বড় যে কোনো ইস্যুতেই সড়ক অবরোধসহ কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্টরা। একের পর এক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সরকারের ওপর। একটি সমস্যার সমাধানের প্রক্রিয়া শেষ হতে না হতেই আরেকটি এসে ধাক্কা দিচ্ছে। আর এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি। বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতাদের দেওয়া বক্তব্য ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, যা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন তারা।
এমনকি আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে হরতাল, মশাল মিছিল, লিফলেট বিতরণের মতো কর্মসূচিও দেওয়া হয়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করতে উসকে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য। তারা জানান, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও জড়িত আছেন সাবেক বেশ কয়েকজন প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ আমলার নাম চিহ্নিত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৭ মাস পূর্ণ হচ্ছে। এই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এখানেই শেষ নয়, ঈদ সামনে রেখে গার্মেন্ট সেক্টরে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে ইস্যু করা হবে, যা বিচ্ছিন্নভাবে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক স্থানে সংঘটিত হয়েছে। অস্থিতিশীল করার জন্য তৈরি হয়েছে ‘ভায়োলেন্স ক্রিয়েটার গ্রুপ।’ টাকার বিনিময়ে অবরোধ, মিছিল, জ্বালাও-পোড়াওসহ বিভিন্ন সংঘবদ্ধ অপরাধের প্রস্তুতি নিয়েছে গ্রুপটি। শ্রমিকদের মনে ভীতির সঞ্চার করে কাজের স্বাভাবিকভাবে গতি ব্যাহত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে।
