Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: নববর্ষে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং শাহবাগ স্টেশনে কোনো বিরতি থাকবে না। এছাড়া ওইদিন বিকাল ৫টার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সর্ব সাধারণের প্রবেশও বন্ধ থাকবে।শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

 

সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোর শাহবাগ ও টিএসসির স্টেশন দুটি বন্ধ থাকবে।

 

শুক্রবার চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শোভাযাত্রা চলাকালে এর নিরাপত্তা ও জনতার সমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইতিমধ্যে অবহিত করেছি। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রো শাহবাগ ও টিএসসি স্টেশন দুটি বন্ধ থাকবে। এখানে যাত্রী উঠবে না এবং নামবে না, তবে মেট্রো চলবে। আমাদের শোভাযাত্রা শেষ হয়ে গেলে গেট দুটি ওপেন হয়ে যাবে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রার রুট নিয়েও তিনি আলোচনা করেন। বলা হয়, সকালে শোভাযাত্রাটি চারুকলা ও পাবলিক লাইব্রেরির সামনে দিয়ে শুরু করে শাহবাগের গোলচত্বর ঘুরে টিএসএসিতে গিয়ে রাজু ভাস্কর্য ও ডাস ডানে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এরপর ডান দিকে থাকবে শামসুন্নাহার হল, বাঁয়ে টিএসসি দিয়ে সামনের দিকে গিয়ে অফিসার্স টাওয়ার বাঁয়ে রেখে শহিদ মিনারের দিকে যাবে। শহিদ মিনার ডানে রেখে এনেক্স ভবন বাঁয়ে রেখে দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে চারুকলায় এসে শেষ হবে।

 

প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শোভাযাত্রা চলার সময় নিরাপত্তার স্বার্থে তিনটি রাস্তা ব্লক থাকবে। একটা হলো বাংলামোটর থেকে শাহবাগ আসার রাস্তা। বাংলামোটরের ওখানে একটা ডাইভারশন থাকবে। বারডেমের কাছে একটা ব্লক থাকবে। পলাশী থেকে আসার রাস্তা আজিজ সুপার মার্কেটের কাছে ব্লক থাকবে। মৎস্য ভবন থেকে আসার রাস্তা ঢাকা ক্লাবের একটু পরে এসে ব্লক থাকবে। শোভাযাত্রা শুরু হয়ে তার শেষ অংশ শাহবাগে চলে এলে এই ব্লকেডগুলো খুলে দেওয়া হবে। এদিক থেকে যে কেউ তখন শোভাযাত্রায় যুক্ত হতে পারবে।

 

শোভাযাত্রা চলাকালে শুধু নীলক্ষেত ও পলাশী থেকে ঢোকার পথ দুটি খোলা থাকবে। বাকি পথ ব্লক করে দেওয়া হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিনটি গেট ছবির হাট, রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট এবং বাংলা একাডেমির সামনের গেট বন্ধ থাকবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থাকবে। বিএনসিসির একটি বহর থাকবে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা থাকবেন। প্রক্টরিয়াল টিম থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি জাতিসত্তাকে সমন্বয় করার জন্য আলাদা লোক থাকবে। বরাবরের মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। শোভাযাত্রার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী না রাখার সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে।

 

বিকাল ৫টার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। ক্যাম্পাসের বাইরের সময় নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) নির্দেশনা দেবে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *