ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: কাশ্মীরের পাহাড়ঘেরা প্রান্তরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধের আশঙ্কা। পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। প্রতিশোধের হুমকি, সেনা মোতায়েন, গোলাবর্ষণের সম্ভাবনা সব মিলিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোয় এখন যেন এক অঘোষিত যুদ্ধ পরিস্থিতি। সীমান্তের দুই পারেই মানুষ রাত কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। জেগে থাকছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। যুদ্ধাতঙ্কে চুরান্ডা থেকে চকোঠি, সাইন্থ থেকে ত্রেওয়া-প্রতিটি সীমান্তবর্তী গ্রামের ঘরে ঘরেই এখন গড়ে উঠছে বাঙ্কার। জরুরি রসদ মজুত করছেন সেখানেই। প্রতিদিনের জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন ভয় আর দুশ্চিন্তার ছায়ায়। রয়টার্স।

 

যুদ্ধ এখনো শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই যুদ্ধের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন সীমান্তের দুই পাশের বাসিন্দারা। উরি সেক্টরের কাছাকাছি ভারতীয় গ্রাম চুরান্ডার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায় নিজ বাড়িতেই বাঙ্কার তৈরি করছেন তারা। গ্রামটিতে ১,৫০০ জন মানুষের জন্য মাত্র ছয়টি বাঙ্কার রয়েছে।

 

উলে­খ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত তিন হাজার ৩২৩ কিলোমিটার বিস্তৃত। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ৭৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত রয়েছে সীমান্ত। যাকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ১৯৪৯ সালে জাতিসংঘের তরফে একে ‘সিজফায়ার লাইন’ বা যুদ্ধবিরতি রেখা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই দেশই সিমলা চুক্তির অধীনে একে নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি নাম দেয়।

 

জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া সংলগ্ন সীমান্তকে ভারত ‘ইন্টারন্যাশানাল বর্ডার’ বলে আখ্যা দেয় আর পাকিস্তান সেটাকে ‘ওয়ার্কিং বাউন্ডারি’ বলে। সাম্বা, কাঠুয়া, জম্মু, আরএস পুরা, রাজৌরি এবং জম্মুর পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত বসতি অঞ্চলে ১৯ হাজারেরও বেশি পাকা ভ‚গর্ভস্থ বাঙ্কার নির্মাণ করে ভারত সরকার। এখন উত্তেজনা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে এখানকার মানুষ সমস্ত কাজ ছেড়ে এখন বাঙ্কার পরিষ্কার করছেন।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *