Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, গত বছর যারা শেষ সময়ে মালয়েশিয়ায় আসতে পারেননি তাদের আনার বিষয়ে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। ধাপে ধাপে তাদের মালয়েশিয়ায় আসার ব্যবস্থা করবে দেশটির সরকার। এছাড়াও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় এক থেকে দেড় লক্ষ শ্রমিক নেবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

 

বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এসব তথ্য জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, গত বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম বাংলাদেশ সফরে গিয়ে বলেছেন- যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়াতে শেষ মূহুর্তে আসতে পারেনি তাদের আসার সুযোগ করে দেবেন। এর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারের মতো। এটার ভিত্তিতে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন তারা ব্যাচ ব্যাচ করে নেবেন। প্রথম ব্যাচ হিসেবে ৭ হাজার ৯২৬ জনের তালিকা তারা চূড়ান্ত করেছেন। তাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়াতে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়, ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি যে আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লক্ষ বিদেশি শ্রমিক নিতে পারে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন লোক নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি লোক নেয়া হবে। আমরা অনুরোধ করেছি বাংলাদেশের যত রিক্রুটিং এজেন্সি আছে সবার ক্ষেত্রে যেন এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। যাতে সবাই লোক পাঠানোর সুযোগ নিতে পারে। তারা বলেছেন তারা বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখবেন। এ ব্যাপারে অচিরেই তারা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমি মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি যে আমাদের শ্রমিকরা মাল্টিপল ভিসা পায় না, সিঙ্গেল এন্ট্রি পায়। অন্যদেশের শ্রমিকরা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পায়। এটা নিয়ে বেশ কিছু কথা হয়েছে। এ ব্যাপরে তিনি আমাদের শুধু প্রতিশ্রুতিই দেননি বরং তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় যেসব শ্রমিক অবৈধ হয়ে গেছেন তাদের বৈধ করা যায় কি না এমন প্রস্তাবও রেখেছিলাম আমরা। তারা বলেছেন- ওনারা মাঝে মাঝে এটা করেন। গত বছরও করেছেন। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে হয়তো এটা করা সম্ভব হবে না। আমরা এ ক্ষেত্রে মালিকের অবহেলার কারণে এটি হতে পারে জানালে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এটা বিবেচনা করার।

এছাড়াও মালয়েশিয়ায় সিকিউরিটি গার্ড, নার্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নেয়া যায় কি না সে বিষয়েও প্রস্তাব রেখেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, এ ফলপ্রসূ আলোচনার কারণ আমাদের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ব্যক্তিগতভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে খুবই আগ্রহী, আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি সবার জন্য কল্যাণকর কিছু করতে পারবো।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *