Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়াল সিলেট ডেস্ক ::ঘুম থেকে উঠেই যদি দেখেন এক বিশাল জাহাজ আপনার বাড়ির উঠোনের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, তাহলে কেমন লাগবে? আতঙ্কিত হবেন নিশ্চয়ই!বাস্তবে ঠিক এমনটাই ঘটেছে নরওয়ের জোহান হেলবার্গ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
নরওয়েজীয় এই ব্যক্তি ঘুম ভেঙে চোখ মেলেই দেখলেন, তার সামনের বাগানে এসে ধাক্কা মেরেছে বিশাল এক কনটেইনার জাহাজ!
ওই বিশাল কার্গো জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নরওয়ের ট্রন্ডহেইম শহরের কাছে বাইনেসেট উপকূলে উঠে পড়ে। আর সেটি জোহান হেলবার্গের ঠিক বাড়ির সামনের বাগানে গিয়ে থামে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ১৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ‘এনসিএল সাল্টেন’ নামের সাইপ্রাসের পতাকাবাহী জাহাজটি আর একটু হলে তার বাড়ির ওপরেই উঠে যেত।
মজার বা দুঃখের বিষয় যাই বলেন না কেন, জাহাজটি যখন উপকূলে ছুটে আসছিল, তখন হেলবার্গ কিছুই টের পাননি। জাহাজটিকে বেদম (প্রায় ৩০ কিলোমিটার) গতিতে ছুটে আসতে দেখে আতঙ্কিত এক প্রতিবেশী হেলবার্গকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তার পরেই তিনি নিজ চোখে বিষয়টি দেখতে পান।
হেলবার্গ স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিভিটু-কে বলেন, ‘আমি জানালার দিকে তাকিয়ে দেখি বিশাল এক জাহাজ ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে। এর ওপরের অংশ দেখতে আমাকে রীতিমত ঘাড় বাঁকাতে হলো। পুরো ব্যাপারটাই ছিল অবিশ্বাস্য’।
প্রতিবেশী জোস্টেইন ইয়োর্গেনসেন জানান, জাহাজটি পুরো গতিতে তীরের দিকে এগিয়ে আসার শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। এরপর তিনি দ্রুত হেলবার্গের বাড়িতে ছুটে যান।
টিভিটু-কে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম সে (হেলবার্গ) হয়তো আগেই বাইরে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু বাড়ির ভেতরে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না। বারবার দরজার বেল বাজিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। পরে ফোন করে তাকে পাই’।
এদিকে এএফপির জানিয়েছে, উপকূলে উঠে যাওয়া জাহাজটিতে মোট ১৬ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে নরওয়েজীয়, লিথুয়ানিয়, ইউক্রেনীয় ও রুশ নাগরিকও ছিলেন।
ট্রন্ডহেইম ফিয়র্ড ধরে দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী হয়ে ওর্কানগারের দিকে যাওয়ার পথে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপকূলে উঠে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
কী কারণে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। নরওয়ে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
এর আগেও জাহাজটি ২০২৩ সালে তীরে উঠে পড়েছিল। তবে সে ঘটনায় নিজ শক্তিতেই পুনরায় পানিতে ফিরে যেতে পারে।
এবারে ঘটনা প্রসঙ্গে হেলবার্গ বলেন, ‘আপাতত জাহাজটি বেশ বড়সড় এক নতুন প্রতিবেশী। তবে আশা করি, এটি খুব তাড়াতাড়িই চলে যাবে’।
