ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর মেরে নৃশংসভাবে সোহাগ হত্যার মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে অন্যদের জড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন নিহতের স্বজনরা। এজাহারে থাকা তিন অভিযুক্তের নাম কেটে দিয়ে মামলায় নতুন করে সম্পৃক্ত নয় এমন তিন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।

 

নিহত সোহাগের ভাগ্নি মিম আক্তার জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তারা হত্যার খবর পান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানার উদ্দেশে রওনা হয়ে ভোররাতে পৌঁছান। সেখানে সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

 

বিথির অভিযোগ, এজাহার রচনার সময় পুলিশ তিনজন প্রকৃত আসামির (১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর) নাম বাদ দেয়। মামলার খসড়া দেখার সুযোগ পেলে তিনি ছবিও তুলে রাখেন এবং অসঙ্গতি তুলে ধরেন। তিনি পুলিশকে প্রশ্ন করেন, সোহাগকে যেহেতু অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি কেন এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশ তখন তাকে আশ্বস্ত করে, সংশোধন করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত বাদীর অজান্তেই পূর্বে ঠিক থাকা খসড়া বাদ দিয়ে একটি নতুন নথিতে স্বাক্ষর নেয়া হয়, যেখানে প্রকৃত অপরাধীদের নাম বাদ দেয়া হয়।

 

মিমের দাবি, পরে তার মাকে (মামলার বাদী) একা রেখে ওসি মনিরুজ্জামান মনির ও অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কক্ষে কথা বলেন এবং মূল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে অন্য একটি নথিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। বাদী মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ভাই মারা যাওয়ার কারণে আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিলাম। আমার মেয়েকে দেখিয়ে কপি চেক করিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, যেটায় দেখেছি, সেটাতেই সই করছি। কিন্তু পরে বুঝি, অন্য কাগজে সই করানো হয়েছে।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *