ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে গাজায় বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং, রাফাহ ও খান ইউনিসে ত্রাণের জন্য জড়ো হওয়া ৮৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রোববার (২১ জুলাই) দিনের বিভিন্ন সময় এসব হত্যার ঘটনা ঘটে। খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের বেশিরভাগই উত্তর গাজার বাসিন্দা। এর মধ্যে ৬৯ জন ইসরায়েলি গুলিতে প্রাণ হারান বলে জানানো হয়। তারা জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য জিকিম সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন।
ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, হাজারো ফিলিস্তিনির জড়ো হওয়া তাদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি ছিল এবং তারা সতর্কতামূলক গুলি চালায়। তবে বাহিনীর দাবি, নিহতের সংখ্যা গাজা কর্তৃপক্ষ অতিরঞ্জিতভাবে বলছে এবং তারা সরাসরি কোনো ত্রাণবাহী যানবাহনকে লক্ষ্য করেনি।
এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, খাদ্যবাহী ২৫টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার পর বিপুলসংখ্যক ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় জমে। ঠিক তখনই সেখানে গুলির ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ বেসামরিক জনগণের ওপর সহিংসতা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
দক্ষিণ গাজার অন্য একটি ঘটনায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
রোববার সারাদিনের মধ্যে গাজা জুড়ে বিমান হামলা ও গুলিতে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা এবং খাদ্য সংকট ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতি কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনাকেও প্রভাবিত করতে পারে।

