ডায়াল সিলেট ডেকস

মহানগরের শামীমাবাদ এলাকায় এক সংখ্যালঘু পরিবারকে হয়রানি ও পুলিশের বিপক্ষে অসহযোগীতার অভিযোগ পাওয়া গেছে । রোববার (৩ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শামীমাবাদ এলাকার ১৮৩ নং বাসার বাসিন্দা ও এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার গীতা রানী হালদারের মেয়ে পুজা মন্ডল। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান- তার বাবা তপুন কুমার মন্ডল কাজল প্রবাসে থাকেন। মা গীতা রানী স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে শামীমাবাদের বাসায় থাকেন। ২০১৩ সালে শামীমাবাদ এলাকায় ৪ শতক জায়গা ক্রয় করে সেখানে বাসা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন গীতা রানি। বাসা নির্মাণের সময় এবং পরবর্তীতে কোনো ঝামেলার শিকার হইনি। তবে চব্বিশের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে হঠাৎ করে একটি চক্র তাদেরকে হয়রানি শুরু করে। তার বাসার লাগোয়া প্লটের মালিক সুহেল বেগ এবং তার সহযোগী রজব আলী, আব্দুল মুমিন, ইমরান আহমদ, শাহান আহমদ, কামরান আহমদ, আঙ্গুর মিয়া, ফকির আলী, রাসেল আহমদ, সুমান আহমদ ও রাব্বিসহ আরও বেশ কয়েকজন এই উৎপাত শুরু করেন।

সুহেল বেগের দাবি- তার জায়গায় গীতা রানীদের বাসা। কিন্তু এর সপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সুহেল বেগ। তারপরও গীতা রানী বলেন- প্রবাসী স্বামী দেশে আসলে এ বিষয়ে দুপক্ষ আলোচনায় বসবেন। সুহেল তার কথায় কর্ণপাত না করে গীতা রানীকে নিয়মিত হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মূলত চাঁদা আদায় করাই এই চক্রের আসল উদ্দেশ্য।

গীতা রানীর মেয়ে বক্তব্যে আরও বলেন- চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৮ জুলাই মধ্যরাতে সুহেল বেগ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাউন্ডারি দেওয়াল গুড়িয়ে দেন এবং বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালান। বাসার সিসিটিভি ক্যামেরাও ভাঙচুর করেন। এসময় গীতা রানী হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন, বাসায় ছিলেন তার দুই ছেলে-মেয়ে। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ যাওয়ার আগে হামলাকারীরা গীতা রানীর ছেলে-মেয়ে ও তাকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর গীতা রানী সিলেট কোতোয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেন নি। পরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দিলেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে গীতা রানী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দুটি মামলার আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেছন গীতা রানী।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *