ডায়াল সিলেট ডেকস

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

অবশেষে তোপের মুখে পিরোজপুরের নেছারাবাদের সোনারগোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালে সাটানো শেখ মুজিবের সেই ছবি সরিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইয়াছমিন।বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ঝুলিয়ে রাখাকে কেন্দ্র করে  উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।  পরে রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দীনের ফোন পেয়ে ছবিটি সরিয়ে নেন প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইয়াছমিন।

তিনি দেয়াল থেকে ছবি নামিয়ে চিলেকোঠায় রেখে দিয়েছেন বলে জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইয়াছমিন বলেন, বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানোর জন্য আমার কাছে সরকারি কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই আমি ছবি সরাতে যাইনি। মূলত বিদ্যালয় এলাকার একটি মহল সকালে বিদ্যালয় এসে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন তিনি আমাকে ছবিটি সরাতে বললে আমি বলেছিলাম সরকারি কোনো নির্দেশনা না পেলে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরাবো না। পরে বিকেলে শিক্ষা অফিস থেকে ফোন পেয়ে ছবিটি আমি নিজের হাতে নামিয়ে বিদ্যালয়ের একটি আলমারির চিলে কোঠায় রেখে দিয়েছি।

এ প্রসঙ্গে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘দেশের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সব বিদ্যালয় থেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। আমি বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে বলার পর তিনি ছবি সরিয়ে ফেলেন।’

এর আগে সোনারঘোপ রমেশ চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিন বলেছিলেন, আমার বাবা মইনুদ্দিন মাস্টার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা; আমি ছবি নামাব না; কেউ যদি অপসারণ করে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করি ও ভালোবাসি। তার অপমান কখনোই চাইব না।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য হলেও কেবল একপক্ষের ছবি ঝুলিয়ে রাখলে তা অন্য দলের প্রতি বৈষম্য তৈরি করে। তাদের দাবি, ইতিহাসে অবদান রাখা সব জাতীয় নেতার সম্মান রক্ষা করা উচিত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা প্রয়োজন।

নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আজাহারুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এককভাবে বঙ্গবন্ধু ও হাসিনার ছবি টানিয়ে রাখা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব যেন ছিলই না—এমনভাবে ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা এর বিরোধিতা করি।’

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নেছারাবাদ উপজেলার কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো নেই। শুধু সোনারঘোপ রমেশ চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষেই তখনও ছবি ঝুলানো ছিল।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *