ডায়াল সিলেট ডেস্কঃ-
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!নির্বিচারে লুটপাটের পর অবশেষে সিলেটে পর্যটনকেন্দ্রে সাদা পাথর রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট বিভাগীয় ও সিলেট জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে গত কয়েকদিনে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা সাদা পাথর এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে যৌথ বাহিনী। একই সঙ্গে পাথর চুরির সাথে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে জেলা প্রশাসন। আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
সাদা পাথর রক্ষায় ৫টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে, অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে, পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হবে।
এদিকে লুটপাটের ঘটনা অনুসন্ধানে সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই চলছে এই লাগামহীন লুটপাট। প্রকাশ্যে প্রশাসনের সামনেই লুটে নেওয়া হয় পাথর। এরপর প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কিছুদিন বন্ধ ছিল লুটপাট। তবে গত মাসের শেষ দিকে লুটপাটও আরও বেড়ে যায়।
ওই সময়ে মেঘালয়ের পাহাড় থেকে ঢলের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পাথরও নেমে আসে। এরপর থেকে হাজারও শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন চলে লুটপাট। প্রতিদিন শত শত নৌকা দিয়ে লুটের পাথর নিয়ে যাওয়া হয়। গত সোমবার পর্যন্ত এই লুটপাট চলে।
এদিকে সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি ও যুবদলের আরও কয়েকজন নেতা লুটপাটে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর বাইরে জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতার বিষয়ে গুঞ্জন রয়েছে।

