লালাবাজারে রিক্সা শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কঠোর হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০

লালাবাজারে রিক্সা শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কঠোর হুঁশিয়ারি

ডায়ালসিলেট::

দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক ও শ্রমিক সমিতি ‘মিথ্যা অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে কর্মবিরতি এবং বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এই বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।

এসময় তারা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে রিক্সা রেখে ‘ স্বপ্নের লালাবাজার’ নামক ফেইক ফেসবুক পেজের মিথ্যা অপপ্রচার সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। পাশাপাশি শ্রমিকরা বৈধভাবে লালাবাজারে রিক্সা পরিসেবা প্রদানের লক্ষ্যে চেয়ারম্যানের কাছে সুরাহা চান। বিক্ষোভ সমাবেশে লালাবাজার ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক ও শ্রমিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জহির আহমদ চৌধুরীসহ অর্ধশত শ্রমিক ও মালিক উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিকরা দাবি করেন, লালাবাজার একটা গ্রাম্য বাজার। এখানকার বিভিন্ন গ্রাম্য সড়কে তারা রিক্সা চালিয়ে আসছেন। যুগের চাহিদায় তারা এখন ব্যাটারি চালিত রিক্সা গ্রামের সড়কগুলোতে চালান। তাদের একটা সমিতি আছে। তাদের রিক্সার বৈধ চলাচল ও নিরাপত্তার জন্য লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের রিক্সার প্লেট নম্বর ব্যবহার করছেন। বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদকে প্লেট বাবদ খাজনা দিচ্ছেন। এতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে রিক্সা চলাচল করে আসছে গ্রামীণ সড়কে। কিন্তু সম্প্রতি ‘ স্বপ্নের লালাবাজার’ নামক একটা ফেইক ফেসবুক আইডি থেকে তাদের রিক্সাগুলোকে অবৈধ বলে আসছে। কতিপয় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিকরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফয়জুল হোসেন ফয়লার বিরুদ্ধে ‘অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের’ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই চলমান ষড়যন্ত্রের অবিলম্বে সুরাহা চান তারা। নইলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন বলে তারা হুঁশিয়ার করেন।

লালাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল বিষয়টি শৃঙ্খলাও বৈধতার ভিতর দেখে দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা কর্মবিরতি তুলে নেন।

লালাবাজার ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক ও শ্রমিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন,‘ ইউনিয়ন পরিষদের বৈধ প্লেটে এই রিক্সাগুলো চলে। এগুলো গ্রামীণ সড়কে অবৈধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

২ নং ওয়ার্ডেও মেম্বার ফয়জুল হোসেন ফয়লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এসব রিক্সার প্লেট ইউনিয়ন পরিষদ দিচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত কিছু এখানে নেই।

১ নং ওয়ার্ডেও মেম্বার হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার জানামতে ইউনিয়ন পরিষদ একটা ফি নিয়ে গ্রামীণ সড়কে চলার জন্য এইসব রিক্সার নম্বর প্লেট দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বছরে একটা খাজনা আদায় করছে, বিনিময়ে কিছু গরিব মানুষ খেটে খাওয়ার কাজ পেয়েছে।

এ বিষয়ে লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল বলেন,‘ আগের মতো প্যাডেলের রিক্সা আর শ্রমিকরা চালাচ্ছেন না। সাধারণ জনগণের রিক্সার দরকার আছে। আর লালাবাজার কোনো সিটি শহর নয়, একটা মফস্বলের বাজার। এখানে কিছু লোক ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালায়। তাদের একটা রিকশা চুরি হলে মালিকানা সনাক্তের কোনো বৈধতা নাই। তাই আমরা ইউনিয়ন পরিষধের অধীনে তাদেরকে নম্বর প্লেট দিয়েছি। এজন্য তারা একটা ফি পরিষদকে দিচ্ছেন। এরফলে এই সব রিক্সা চলাচলে একটা শৃঙ্খলা এসেছে। যাত্রী , মালিক ও শ্রমিকের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়েছে। শ্রমিকদের দাবিগুলো আমরা শুনেছি, বিষয়টা সুরাহার চেষ্টা করবো।’

0Shares