ডায়াল সিলেট ডেস্কঃ-
গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। যার প্রভাব পড়ে ভিসা প্রক্রিয়াত্ওে। বিশেষ করে মেডিকেল ভিসার সংখ্যা অনেক কমে যায় । ২০২৩ সালে যেখানে ভারত ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছিল, যার অধিকাংশই ছিল চিকিৎসার উদ্দেশ্যে, সেখানে আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন মাত্র এক হাজারেরও কম মেডিকেল ভিসা ইস্যু হচ্ছিল। ফলে চিকিৎসার প্রয়োজনবোধে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তবে বর্তমানে্ এই সমস্যা সমাধানে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।
মেডিকেল ভিসার নতুন প্রক্রিয়া
আগে মেডিকেল ভিসার জন্য অনলাইনে স্লট নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সার্ভারের ত্রুটি এবং পর্যাপ্ত স্লট না থাকায় অনেক রোগীদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।এছাড়া্ও দালালদের দৌরাত্ম্যও ছিল। এখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দূতাবাস বিকল্প ব্যবস্থা চালু করেছে।
নতুন এই পদ্ধতিতে, কোনো আবেদনকারী যদি অনলাইনে স্লট নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি তার আবেদনপত্র এবং চিকিৎসার সমস্ত কাগজপত্র সরাসরি ভারতীয় দূতাবাসের গেট নং-১ এ জমা দিতে পারবেন। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবে। যদি আবেদনটি জরুরি মনে করা হয়, তবে দূতাবাস থেকে আবেদনকারীকে ফোন করে সরাসরি ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তারিখ জানিয়ে দেবে।
অতপর দূতাবাসের নির্ধারিত তারিখে আবেদনকারীকে যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারে মূল আবেদনপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। কোনো কারণে সমস্যা হলে সরাসরি ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
নতুন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসা ভিসা পাওয়া সহজ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেও সহায়ক হবে।