ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দুঃসময় কাটিয়ে আমরা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। এখন আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
১৫ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বাণী প্রকাশ করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, দিবসটি আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলাকে উৎসাহিত করে। এ দিন গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলনকে প্রণোদনা দেয়। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র অর্জনের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং শহীদ ও আহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
মহাসচিব উল্লেখ করেন, গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগে অংশ নিতে পারে। জনগণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ন্যায়সঙ্গত ও সেবা মূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচেষ্ট থাকে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিক চর্চা অব্যাহত থাকলে কোনো স্বৈরশক্তিই মাথাচাড়া দিতে পারে না এবং জনগণ ক্রীতদাসে পরিণত হয় না।
ফখরুল আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে একদলীয় শাসনের কালো থাবা এখনও বিরাজ করছে। বাংলাদেশেও দেড় দশক ধরে নাগরিক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ করে এক প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন চালু ছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমিত করা, ভিন্নমতের জন্য গুম-খুন ও আইনবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও একই রকম অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, দেশবাসী ১৬ বছরের কঠিন সময় অতিক্রম করে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ঐতিহাসিক রক্তস্নাত আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করলেও এখনও পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবাধ, মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত না হলে প্রকৃত গণতন্ত্র সম্ভব নয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী গণতন্ত্র অর্জন সম্ভব নয়।