ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তোফায়েল আহমেদের জামাতা সাবেক এমপি ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার শ্বশুরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, সংকটাপন্ন। তবে হৃদযন্ত্র কাজ করছে।’ পরিবারের পক্ষ থেকে তোফায়েল আহমেদের দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন ডা. তুহিন।

ষাটের দশকের ছাত্রনেতা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অগ্রসৈনিক তোফায়েল আহমেদ বার্ধ্যক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে স্কয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। একমাত্র সন্তান ডা. তাসলিমা আহমেদ জামান মুন্নী ও জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন সার্বক্ষণিকভাবে তার দেখভাল করছেন।

তাদের পরিবারের কয়েক সদস্য জানান, প্রায় তিন বছর আগে প্রথম দফায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন নয়বারের এমপি তোফায়েল আহমেদ। এরপর তিনি আরেক দফায় করোনা আক্রান্ত হন। সেই সঙ্গে কমপক্ষে দুই দফায় তার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়। একসময় তিনি স্মৃতিশক্তি হারান।

ওই সময়ে ডা. তুহিন জানিয়েছিলেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত তোফায়েল আহমেদ চলমান কোনো কিছুই বোঝার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তাকে অধিকাংশ সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হচ্ছে। তিনি প্রতিদিন গড়পড়তা প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে থাকেন। হাঁটতে পারেন না। কয়েক বছর ধরেই হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। কাউকে চেনেনও না। স্মৃতিশক্তি নেই। বাঁ হাত ও পা একেবারেই অবশ হয়ে আছে। ফলে তিনি চলাফেরায় একেবারেই অক্ষম। তার শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে তার নিজ এলাকা ভোলায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভাঙচুর, অস্ত্র প্রদর্শন ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগে মামলা হয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *