ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-
সিলেটের গোলাপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাচালানকৃত প্রসাধনীসহ তিন চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোররাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর এলাকায় এ অভিযান চালায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার টহল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিরস্ত্র) আনন্দ চন্দ্রের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হিলালপুর জামে মসজিদের সামনে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটের সময় একটি নীল ও হলুদ রঙের পুরাতন কাভার্ডভ্যানকে থামার সংকেত দিলে সেটি পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ধাওয়া করে গাড়িটি আটক করে এবং তল্লাশি চালায়।
তল্লাশির সময় গাড়ির ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় তৈরি প্রসাধনী ও কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল: নিভিয়া বডি লোশন ও ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, পন্ডস ব্রাইট বিউটি ফেসওয়াশ, হাইড্রোকুইনোন, ট্রেটিনয়িন ও মোমেটাসন ফিউরোয়েট ক্রিম, বেটামেথাসন ভ্যালেরেট ও নিওমাইসিন ক্রিম, ক্লোবেটাসল প্রোপিওনেট ক্রিম, অ্যাকনি স্টার ফেসওয়াশ,আইবল চকলেটসহ আরও নানা ধরনের প্রসাধনী পণ্য।
জব্দকৃত এসব পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ১ কোটি ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ৮২০ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযানে আটককৃতরা হলেন:১. মো. হৃদয় (২২), পিতা- আবদুল খালেক, সাং- বারখলা, থানা- দক্ষিণ সুরমা, সিলেট
২. রুমন আলী (২৩), পিতা- মৃত আজমল আলী, সাং- জাহানপুর, থানা- মোগলাবাজার, সিলেট ৩. সাইফুল ইসলাম (২৫), পিতা- আলঙ্গীর হাওলাদার, সাং- ঐঠরা, থানা- উজিরপুর, জেলা- বরিশাল
অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৩–৪ জন সহযোগী পালিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিরা পণ্যের কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাবও দিতে ব্যর্থ হয়।
পরে কাভার্ডভ্যানসহ সকল মালামাল জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় এসআই (নিরস্ত্র) আনন্দ চন্দ্র স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর ধারা ২৫B(১)(খ)/২৫D অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় প্রসাধনী চোরাচালানে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”