ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনঘাট এলাকার অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন তৎপর হয়েছে। দখলকৃত জমি থেকে ক্রাশার মিল সরিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা আগামী ২২ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মাইকিং শুরু করা হয়। পরে একই দিন বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও কোম্পানীগঞ্জ মেইল মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়। ইউএনও রবিন মিয়া সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করেন।
জানা গেছে, ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রায় ৫০ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এই এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর দখলদাররা বুলডোজার দিয়ে ওই প্রাচীর ভেঙে পুনরায় জমি দখল করে নেয়।
পর্যটন এলাকা থেকে অবাধে সাদা পাথর ও বালু উত্তোলনের পাশাপাশি রোপওয়ে (বাংকার) এলাকা থেকেও পাথর উত্তোলন হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। ভোলাগঞ্জ-সাদা পাথর সড়কের দুই পাশে একসময় প্রায় এক হাজার ছোট-বড় ক্রাশার মিল ছিল।
২০২৩ সালে ভোলাগঞ্জকে দেশের ২৫তম স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করার পর পশ্চিম পাশের দখলকৃত জমি উদ্ধার করে স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা বর্তমানে নির্মাণাধীন। নদীর পূর্ব তীর থেকে গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫০ একর জমি পর্যটন উন্নয়নের জন্য ট্যুরিজম বোর্ডকে দেয়া হয়েছিল।
৫ আগস্টের ঘটনার পর দখলদাররা আবারও জমি দখলে নিয়ে স্টোন ক্রাশার মিলগুলোর কাছে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন পুনরায় মাঠে নেমে অভিযান শুরু করেছে এবং সর্বশেষ মাইকিংয়ের মাধ্যমে সময়সীমা ঘোষণা করেছে।
ইউএনও রবিন মিয়া জানান, “আমরা ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেছি। জমি উদ্ধারে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ২২ তারিখের আগে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং রায়ের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”