ডায়াল সিলেট ডেস্ক;-

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কেবল দুর্ঘটনা নয় অন্য ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, এটি দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র—তা খতিয়ে দেখতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত শুরু করা উচিত। কারণ, গত কয়েক দিনে স্থানীয় ও রফতানিমুখী একাধিক পোশাক কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

‘কার্গো ভিলেজের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে যে, এটি কতটা অনিরাপদ। গত কয়েক বছর ধরেই আমরা রফতানিকারকরা অভিযোগ করে আসছি, আমাদের পণ্য খোলা জায়গায় রাখা হয়, যা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ইপিজেডে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পর কার্গো ভিলেজে এ ধরনের ঘটনা আমাদের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি করতে পারে।

‘কার্গো ভিলেজ ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ হলো তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা, যারা তুলনামূলকভাবে হালকা যন্ত্রপাতি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের আমদানি এবং তৈরি পোশাক ও নমুনা পাঠানোর কাজে এটি ব্যবহার করে থাকেন।’

বিবৃতিতে মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোও এই কার্গো ভিলেজের মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের দলিলপত্র ও পার্সেল আকাশপথে আদান-প্রদান করে। এছাড়া ওষুধ শিল্পের উদ্যোক্তারা কাঁচামাল আমদানির জন্য এবং কৃষিপণ্য রফতানিকারকরা—বিশেষ করে শাকসবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানির জন্য—এই কার্গো ভিলেজ ব্যবহার করেন।

ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে সামগ্রিক ক্ষতির চিত্র পাওয়া যাবে। বিকেএমইএর সদস্যদের কাছে আমরা চিঠি পাঠাবো, যাতে তারা তাদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সমিতির কাছে জমা দিতে পারেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *