ডাযালসিলেট::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে বিজিবির অভিযানে আটক শ্রমিক নেতাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। পরে গতকাল শনিবার মো. হারিছ আলী নামে ঐ শ্রমিক নেতা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

সিলেট মিররকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এখনও আমি মূল কাগজ দেখিনি। তবে শুনেছি পরিবহন শ্রমিক ঐ নেতা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, আদালত তা মঞ্জুর করেন।

গত শুক্রবার রাত পৌণে ৯ টায় বিজিবির অভিযানে ১৯৯ পিস ইয়াবাসহ আটক মো. হারিছ আলী। তাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে দাবি করে রাত ১০ টার দিকে দক্ষিণ সুরমা এলাকার একাধিক পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এসময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকালে তারা পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মুক্তির দাবি জানান। পরে রাতেই পুলিশ হারিছ আলীকে ছেড়ে দেয় বলে জানা যায়।

তবে তাকে ‘ছেড়ে দেওয়া হয়নি’ বলে দাবি দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেনের। তিনি বলেন, সিআরপিসি ৪৯৬ ধারা অনুযায়ী আমরা তাকে জামিন দিয়েছি। সঙ্গে এটাও বলে দিয়েছি, তিনি যেন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। কোনো ধরণের ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে আটক করলে এই ধারায় মুক্তি দেওয়া যায়।

এদিকে বিজিবির দাবি, ‘তাকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে,’। আর শ্রমিকদের দাবি,’ নিরপরাধ শ্রমিক নেতাকে বিনা কারণে ইয়াবার নাটক সাজিয়ে আটক করা হয়েছে।’

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত দাবি করেন- ‘হারিছ আলী নির্দোষ। তাকে অযথাই বিজিবি আটক করেছে। সে ক্যারাম খেলছিলো। এসময় হঠাৎ করে বিজিবির একটি গাড়ি এসে হারিছ আলীর মোটর সাইকেলের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে ডাক দেয়। গাড়ির কাছে আসা মাত্র উপস্থিত সকল মানুষকে সরিয়ে দিয়ে বিজিবি হারিছকে বলে গাড়িতে ১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। এই বলে তাকে এবং তার মোটরসাইকেল বিজিবি নিয়ে আসে। এরপর আমাদের শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আখালিয়া বিজিবি ক্যাম্পে গেলেও বিজিবির কমান্ডার দেখা করতে দেননি। পরে আমরা সড়ক অবরোধ করি।’

অপরদিকে হারিছ আলীর কাছ থেকে ১৯৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে দাবি করে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ‘তার কাছে ইয়াবা আছে জানার পর বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। তখন তাকে ডেকে এনে শরীর তল্লাশি করে ইয়াবার একটি পোটলায় ১৯৯ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাকে মোটরসাইকেলসহ ফোর্স নিয়ে আসে। পরে রাত ১২টা নাগাদ আটক হারিছ আলীকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়ন সিলেটের হাবিলদার আব্দুল আওয়াল বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।’

কিন্তু রাত পোহানোর আগেই শ্রমিক নেতা রুনু মিয়ার জিম্মায় হারিছ আলীকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানায় একটি বিশ্বস্ত সূত্র।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *