ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: নিউইয়র্কে সবচেয়ে আলোচিত মেয়র নির্বাচন ঘিরে এখন জমজমাট হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের। বহুজাতিক এই নগরীতে ভোট গ্রহন মঙ্গলবার। আগাম ভোট আর বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানী এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ডু ক্যুওমো।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
এদিকে নির্বাচনে ঘিরে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সমর্থন করছেন মামদানীকে। তবে পিছিয়ে নেই ক্যুওমোর সমর্থকরাও ।
জুনে প্রাথমিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ডু ক্যুওমোকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয়ে ডেমোক্র্যাট টিকেট পেয়েছিলেন জোহরান মামদানী । কিন্তু পরাজিত হওয়ার পর এবার মূল নির্বাচনেও সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুওমো। যেখানে তিনি সমর্থন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র এরিক এডামসের। আর গভর্নর হেকুলসহ ডেমোক্রেট দলের সিনিয়রদের সমর্থন পেয়েছেন জোহরান মামদানী । সব জরিপ আর আগাম ভোটে জোহরান মামদানী এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে চমক দেখাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অ্যান্ডু ক্যুওমো। প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির কার্টিস স্লিওয়া প্রচারণা চালালেও তিনি মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারবেন না বলে মনে করেন অনেকে । সামাজিক ন্যায়বিচার, সাশ্রয়ী আবাসন ও পুলিশ সংস্কার তার প্রচারণার মূল বার্তা জোহরান মামদানীর।
অন্যদিকে, সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুওমো ফিরে এসেছেন প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা আর রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে। নিউ ইয়র্কে ভোটারের কাছে ধরনা দিচ্ছেন তারা। সভা-সমাবেশ আর বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন প্রার্থীরা ।
নিজেদের পছন্দের মেয়র, অ্যাসেম্বলিম্যানসহ একাধিক পদে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে গত ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয় ৯ দিনব্যাপী আগাম ভোট। ওই সময়ের মধ্যে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে আগাম ভোট দিয়েছেন রেকর্ড ৫ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি ভোটার, যা গত নির্বাচনের দেওয়া ভোটের প্রায় পাঁচ গুণ। আগাম ভোট দেওয়ার শেষ দিন রবিবার সকাল থেকেই ক্রমান্বয়ে কেন্দ্রগুলোতে বাড়তে থাকে ভোটারদের উপস্থিতি। নিউ ইয়র্ক সিটির প্রায় ৯০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫৫ লাখ।
নির্বাচনের শুরু থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশি মামদানীর পক্ষে কাজ করছেন । তবে পিছিয়ে নেই অ্যান্ড্রু ক্যুওমোর সমর্থকরাও । উভয় পক্ষই নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী । তবে নিউ ইয়র্কের মতো বহুজাতিক সিটিতে একজন অভিজ্ঞ মেয়র প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা ।

