ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: গত ২৪ শে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ রায়ের দিন আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে থাকবে বলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে। দলটির এমন প্রস্তুতি প্রতিহত ও মোকাবিলার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশও। সেই লক্ষ্যে গ্রেপ্তার বাড়ানোসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সদর দপ্তর থেকে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শনিবার (৮ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে এক বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই ডিএমপির সব থানা-পুলিশসহ সাত হাজার পুলিশ সদস্য সড়কে মহড়া দিয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে। ঐদিন দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

জানা যায়, ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সেগুলো প্রতিহত করতে সকল ডিএমপির থানা ও অন্যান্য জেলায় জেলায় পুলিশ মেতায়েয়েন করা হবে। থানা ও অন্যান্য পুলিশ স্থাপনার পরিবহন, প্রয়োজনীয় বলপ্রয়োগের জন্য টিম প্রস্তুত ও এলাকা নির্ধারণ করে রাখা হয়। সম্ভাব্য আক্রান্ত হওয়ার স্থান, স্থাপনা ঘিরে পুলিশের দলগুলো প্রস্তুত রাখা হয় যেন ঘটনা ঘটার আগেই বা সঙ্গে সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়। ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীরা সরকারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে।’

এক ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর পুরো ঢাকা শহরে লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা করা হচ্ছে। কথিত লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে এবং পরে সতর্ক হন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

এদিকে আগামী ১০ নভেম্বর থেকেই ঢাকার প্রবেশপথ, আবাসিক হোটেল, মেস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে তল্লাশি ও বিভিন্ন ধরনের অভিযান শুরু হবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *