প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::
পড়া না পারায় শিক্ষকের দফায় দফায় বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে এক মাদরাসাছাত্র। ওই ছাত্রের নাম মুঈম মিয়া (১২)। সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পীরের বাজার বালিয়া টিলা হুসাইনিয়া কাদরিয়া জালালিয়া সুন্নীয়া জুনিয়র মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। গতকাল শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে।
নির্যাতিত ছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বালিয়া টিলা হুসাইনিয়া কাদরিয়া জালালিয়া সুন্নীয়া জুনিয়র মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ শাহীন আহমদ তার ছাত্র মুঈম মিয়াকে বাড়ির পড়া দিয়েছিলেন। মুঈম শিক্ষকের দেওয়া পড়া শিখে না আসায় শনিবার সকালে প্রথম দফা এলোপাতাড়িভাবে তাকে বেত্রাঘাত করেন শাহীন আহমদ। শিক্ষকের বেত্রাঘাত সইতে না পেরে মাদরাসা থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে যায় মুঈম। বাড়িতে তার বাবা-মা বলেন, হুজুরের (শিক্ষকের) বেত্রাঘাত দোয়া স্বরূপ এবং মুঈমকে বুঝিয়ে আবার তারা মাদরাসায় পাঠান। সেখানে শিক্ষক হাফেজ শাহীন আহমদ দ্বিতীয় দফায় তাকে বেত্রাঘাত করলে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরলে শনিবার বিকেলেই তাকে দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। আজ রবিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে শিশু মুঈমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন তার বাবা।
মুঈমের বাবা আব্দুল খালিক বলেন, ‘মাদরাসায় পড়া না পারলে ছাত্রকে শাসন করবেন তা ঠিক। তবে এভাবে অমানবিক কায়দায় শাসন করা ঠিক হয়নি।’ তিনি এ ঘটনার সুবিচার প্রার্থনা করেছেন। বালিয়া টিলা হুসাইনিয়া কাদরিয়া জালালিয়া সুন্নীয়া জুনিয়র মাদরাসার সুপার হাফেজ নোমান আহমদ রবিবার রাতে মাদরাসায় বসে এ ঘটনার বিচার করবেন বলে তাকে জানিয়েছেন।
বালিয়া টিলা হুসাইনিয়া কাদরিয়া জালালিয়া সুন্নীয়া জুনিয়র মাদরাসার সুপার নোমান আহমদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সামাজিকভাবে বসে এ ঘটনার বিচার করে দেবেন তিনি।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech