
সোহেল আহমদ :: ২৫শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানীর চোখ ছিলো শুধু ঢাকায়। সেদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন তাকিয়ে রয়েছে কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে । তারই মাঝে বিমান থেকে নামলেন দলের প্রধান যার অপেক্ষায় ছিলো লাখো কোটি মানুষ তাকে এক নজর দেখতে অনেকে এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে গানের সাথে তাল মিলিয়ে সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের মুখে শুধু একটি গান ” লিডার আসছে ”। সেদিন ঢাকার উপকণ্ঠে জনসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি মানুষ ও দেশের জন্য একটি সুস্পষ্ট নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন যা দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার পর গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে নির্বাসন শেষে দেশে ফেরে এ সুংবাদ জানান সবাইকে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানকে দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থক সমাবেশে অংশ নেন।
বর্তমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা বেড়েছে। তরুণ নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দু’টি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ এবং এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটে।
নেতৃত্বের পরীক্ষায় তারেক রহমান বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকা, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি’র ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তারেক রহমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও নির্বাসন শেষে তার দেশে ফেরা নিয়ে বেশ কিছুদিন অনিশ্চয়তা ছিল।
সব প্রতিঘাট পেরিয়ে অবশেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানের পথ সুগম করতে পারে।
দেশে সবচেয়ে বড়দল বিএনপির আসন্ন নির্বাচনে এগিয়ে থাকা তারেক রহমানকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার আগমন একটি নতুন সম্ভাবনার জানালা খুলে দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
তারেক রহমান বাংলাদেশ আগমনের সাথে সাথেই সমাবেশে অংশ নেন। তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই। এই দেশে পাহাড়-সমতলের মানুষ আছে। আরও আছে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। আমরা এমন একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে নারী-পুরুষ ও শিশুরা নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারবে।
তিনি আরো বলেন আই হেভ এ প্লান, ইউ হেভ এ প্লান। বাংলাদেশকে আরো অর্থনৈতিক,সামাজিক, শিক্ষা চিকিতসাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চালিকা শক্তি গতিশীল রাখতে তিনি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের মানুষকে কাজে লাগাতে চান।