প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: নবনির্বাচিত দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রাজশাহীতে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সোমবার শপথ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে দুই সিটির মেয়রগণকে শপথ করান। পরে দুই সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী আসনের ৭৬ জন কাউন্সিলররাও একই স্থানে শপথ নেন। শপথ গ্রহণকারীদের মধ্যে রাজশাহীর ৪০ ও সিলেটের ৩৬ জন।
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১৬০,২৯০ ভোটে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুর্শিদ আলম মাত্র ১৩,৪৮৩ ভোট পান।
একই দিনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১১৮,৬১৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল নজরুল ইসলাম বাবু পেয়েছেন ৫০,৩২১ ভোট।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করেছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো প্রমাণ করেছে যে তার বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহনযোগ্য ও সুষ্ঠু হতে পারে, যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিতে পারে। তিনি বলেন, একের পর এক সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকার কারণে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিচ্ছে। আমরা প্রমাণ করেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার তার কার্যালয়ের শাপলা হলে দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে শপথবাক্য পাঠ করানোর সময় একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে সেবা প্রদান করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তার সরকার শুধু নগরীতেই নয়, তৃণমূলেও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক উন্নয়নের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেন। নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখুন। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীকে আধুনিক, সুন্দর ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজশাহী সিটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াত চক্র সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। বিএনপি সরকার বাংলাদেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিল। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভোটাধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রত্যক্ষ করেছিল যখন বঙ্গবন্ধু তৎকালীন মহকুমাগুলোকে জেলায় পরিণত করেছিলেন এবং জেলাগুলির সার্বিক উন্নয়ন তদারকি করার জন্য জেলা গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী ও সিলেটের আরও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে, সিলেট ও রাজশাহীতে নিরক্ষরতা ও বেকারত্ব দূর করতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের সে অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তার সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর দিচ্ছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
পরে সাধারণ ওয়ার্ডের ৭৬ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর এবং দুই সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররাও একই স্থানে শপথ নেন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৪০ জন এবং সিলেটের ৩৬ জন কাউন্সিলর।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১৬০,২৯০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ মুর্শিদ আলমকে পরাজিত করেন, যিনি মাত্র ১৩,৪৮৩ ভোট পেয়েছেন। একই দিনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১১৮,৬১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবু ৫০,৩২১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
শপথ নিলেন সিসিকের নতুন কাউন্সিলররা
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আগামী পাঁচ বছরের জন্য শপথ নিয়েছেন তারা।
গত ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। সিলেটে বিপৃল ভোটে বিজয়ী হোন মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১৪টি সংরক্ষিত আসনে ১৪ জন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এর আগে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে শপথ অনুষ্ঠানের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথবাক্য পাঠ করাবেন। আর নবনির্বাচিত কাউন্সিলবৃন্দকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি।
এছাড়াও, রোববার বিকেল ৪টায় একই স্থানে মেয়র-কাউন্সিলদের শপথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech