স্পোর্টস ডেস্ক::টেনিস থেকে ক্রিকেট। এরপর আবারো টেনিসে। সেখান থেকে গলফ কোর্সে। পেশাদার ক্রিকেটে তিনি খেলেছেন শীর্ষ পর্যায়ে। টেনিসে জিতেছেন গ্র্যান্ড স্লাম। বর্তমানে নারী একক টেনিসের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়ও তিনি। অ্যাশলে বার্টি এবার চমক দেখালেন গলফ কোর্সে। তিনি শিরোপা জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি গলফ চ্যাম্পিয়নশিপে।
গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন শিরোপা কুড়ান অ্যাশলি বার্টি।
করোনা মহামারির কারণে এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন তিনি। একই কারণে সরে দাঁড়ান গত মাসে হওয়া ইউএস ওপেন থেকেও। করোনা মহামারির মধ্যে টেনিস থেকে দূরে থাকলেও বসে নেই ২৪ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান ‘সব্যসাচী’ ক্রীড়াবিদ। গলফের প্রেমে মজেছেন তিনি। ব্রিসবেনের একটি গলফ আসরে দারুণ পারফরমেন্সে জিতে নিয়েছেন শিরোপাও। গলফের সঙ্গে বার্টির সখ্যতা বেশ আগে থেকে। তার প্রেমিক গ্যারি কিসিক পেশাদার গলফারদের প্রশিক্ষক। ২০১৬ সালে কিসিকের সঙ্গে বার্টির পরিচয়। তখন থেকে সময় পেলেই গলফ কোর্সে নেমে পড়েন বার্টি। গত বছর মেলবোর্নে প্রেসিডেন্ট কাপ খেলতে এসে বার্টির ‘গলফ প্রতিভার’ প্রশংসা করেন ১৫টি মেজর শিরোপা জেতা মার্কিন তারকা টাইগার উডস। তিনি বলেছিলেন, ‘সে দারুণ চালায় (গলফের স্টিক বা ক্লাব)।’ বার্টি পেশাদার গলফে পা রাখলে সফল হবেন সেটা বিশ্বাস করেন তিনটি অ্যামেচার শিরোপা জেতা অস্ট্রেলিয়ান গলফার লুইস ডবলার। তিনি বলেন, ‘অন্য খেলা থেকে এসে পেশাদার গলফার হয়েছেন- এমন অনেককেই আমি দেখেছি। তাদের মধ্যে বার্টিকে সেরা মনে হয়েছে। গলফের সব নিয়ম-কানুনও তার জানা। সে বলে দারুণ হিট করতে পারে। এটা সম্ভবত টেনিস থেকে পেয়েছে সে।’
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তির ক্রিকেটার ম্যাথিউ হেইডেন-ক্রেইগ ম্যাকডারমটের শহর কুইন্সল্যান্ডে জন্ম বার্টির। র‌্যাকেট হাতে ২০১১ সালে ১৫ বছর বয়সে জেতেন জুনিয়র উইম্বলডনের একক শিরোপা। দুই বছর পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেনের ডাবলসের ফাইনালে উঠে সাড়া ফেলেন টেনিস বিশ্বে। টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম ডাবলসের ফাইনাল খেলার পর হঠাৎ টেনিস ছেড়ে ক্রিকেটে মনযোগী হন বার্টি। ব্রিসবেনের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আসরেও খেলেন। ২০১৫ সালে সুযোগ পান নারী বিগ ব্যাশ লীগের দল ব্রিসবেন হিটে। দুই বছর বিগ ব্যাশে খেলে আবারো ফেরেন টেনিসে।
২০১৮ সালে ইউএস ওপেনে জেতেন ডাবলসের শিরোপা। পরের বছর নারী এককে জেতেন ফ্রেঞ্চ ওপেন । সবশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এককে খেলেছেন সেমিফাইনালে। ডাব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পৌঁছেন গত বছরের ২৪শে জুন। সেটা এখনো ধরে রেখেছেন অ্যাশলে বার্টি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *