ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক আবুল কালাম আজাদ (২৭) নামের এক যুবকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সোমবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের পীরপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দু’ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

জানা যায়, পীরপুর উত্তর পাড়া গ্রামের সউদি আরব প্রবাসী রহিম উদ্দিনের শিশুপুত্র ফাহিম (১২) বাড়ির আঙ্গিনায় বাইসাইকেল চালাচ্ছিল। এক পর্যায়ে সাইকেল নিয়ে সে পাশের বাড়ির আঙ্গিনায় গেলে মৃত জমসিদ আলীর ছেলে নুর আলী শিশুটিকে মারধর করে। খবর পেয়ে ফাহিমের চাচা মৃত ছমির আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ পীরপুর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় নূর আলী ও তার সহোদররা। মৃত মখলিছ আলীর ছেলে আনোয়ারের ঘরে নিয়ে তাকে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে স্বজনরা আনোয়ারের ঘর থেকে আজাদকে জীবিত মনে করে দ্রুত স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে আবুল কালাম আজাদ মারা গেছে এমন খবরে হামলাকারীরা গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে গ্রাম থেকে মৃত জমসিদ আলীর ছেলে নূর আলী ও ধারণ এলাকা থেকে মৃত মদরিছ আলীর ছেলে শাহ আলমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

খবর পেয়ে ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, থানার ওসি মোস্তফা কামাল, ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, থানার এসআই সৈয়দ আবদুল মান্নান, এসআই শামীম আকঞ্জিসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সাহেব আলী পাঠান। তিনি নিহতের পরিবারকে শান্তনা দিয়ে বলেন, হত্যার সাথে জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। এসময় ছাতকের সার্কেল বিল্লাল হোসেন, থানার ওসি মোস্তফা কামাল, ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলী, ইউপি সদস্য আনোয়ার আলীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের মা রুপিয়া বেগম, ভাই জামাল আহমদ ও নিজাম উদ্দিন, ভাবি ফারুল আক্তার অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে আবুল কালাম আজাদকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটক রেখে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তারা এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত শাহ আলম ও নূর আলী, আনোয়ার, আবুল, কবির, সিরাজ, মোহাম্মদ আলী, রেশমিনা বেগমসহ সকলের দৃষ্ঠান্তমৃুলক শাস্তির দাবি জানান। দু’জনকে আটকের কথা স্বীকার করে থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ/০৬

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *