
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান ভস্মীভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে জগন্নাথপুর পৌরসভার শান্তিনগর বাজারের (হাসপাতাল পয়েন্ট) ছিক্কা মসজিদ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিসকে দোষারোপ করে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফায়ার সার্ভিস অফিস ঘেরাও কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে খবর দেয়ার পর যথাসময় না আসায় তারা আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা চালান । পরে সিলেটের বিশ্বনাথ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের প্রচেষ্টায় সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিসের এমন উদাসীনতা নতুন নয়। এর আগেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও তাদের বিরুদ্ধে দেরিতে পৌঁছানো বা পৌঁছাতে না পারার অভিযোগ উঠেছে। কখনও গাড়ি নষ্ট, আবার কখনও সড়ক সংস্কারের অজুহাত দেখিয়ে তারা দায়িত্ব পালনে গড়িমসি করে আসছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং উপজেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মুর্শেদ আলম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, “আমাদের ভবন থেকে আমরা অগ্নিকাণ্ড দেখতে পাই।কিন্তু জগন্নাথপুর পৌরপয়েন্টে নির্মাণাধীন আর্চ সেতুর কাজ শেষ না হওয়ার কারণে আমরা যেতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটের বিশ্বনাথ ইউনিটকে জানাই।
শান্তিনগর বাজার তদারক কমিটির সেক্রেটারি বিলাল আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘হঠাৎ করে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসলে এ ক্ষতি হতো না। কিন্তু জগন্নাথপুরের ফায়ার সার্ভিস সেতুর দোহাই দিয়ে তারা আসেনি আর বিশ্বনাথের ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই সব পুড়ে গেছে।