টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নজলুর নদীর বিকল্প সেতু পানিতে তলিয়ে গেছে। সোমবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে এ সেতু দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার কারণে সেতুটি বর্ষার শুরুতেই পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবী ছিল, সেতুটি উঁচু করে স্খাপনের জন্য কিন্তু সংশ্লিষ্টরা নিচু করেই সেতু স্থাপন করায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এদিকে নজলুর নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ডাক বাংলো সেতু মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সদরের নলজুর নদীর খাদ্য গুদামের প্রধান সেতুটি নির্মাণের জন্য ভেঙে দেওয়ায় বিকল্প সেতু হিসেবে শহরের হেলিপ্যাড এলাকায় বেইলি সেতু স্থাপন করা হয়েছিল। এসেতু অচল হয়ে পড়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে ডাক বাংলোর সরো ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটিতে। যেকারণে দীঘ যানজট লেগে সীমাহীন জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এই দুইটি সেতু দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের লোকজনসহ পাশবর্তী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জনসাধারণ কে উপজেলা সদরে জরুরি নানা কাজে আসতে হয়।

এলাকাবাসী ও এলজিইডি সূত্র জানায়, ১৯৮৭ সালে নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নের গুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি টেকসই থাকলেও একসঙ্গে বড়দুটি যান চলাচল করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির মাধ্যমে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরাতন এ সেতু ভেঙে নতুন দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গত সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন করলে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিকল্প হিসেবে একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়।

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বিকল্প সেতুটি তৈরির সময় এলাকার লোকজন বর্ষায় এটা ডুবে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আরও উঁচু করার দাবি জানিয়েছিলেন তবে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বিষয়টি আমলে দেয়নি।

অপর দিকে ১৯৮৮ সালে নলজুর নদের ওপর ডাকবাংলো সেতুটি এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।১৯৯৬ সালে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেতুর কাজ শেষ হয়। সেই থেকে সরো এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে।২০২১ সালে নলজুর নদ খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এক বছর যান চলাচল বন্ধ থাকার পর গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জগন্নাথপুর পৌরসভার সেতুর দেবে যাওয়া অংশে ষ্টীলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করে।

জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক শংকর রায় জানান,গুদামের পাশে হেলিপ্যাড এলাকায় বিকল্প সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়ক্ষ ডুবে যাওয়ায়, যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা শুরুতে বিকল্প বেইলি সেতুটি আরও উঁচু করার দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি বলেন, ডাক বাংলা সেতুটিও ঝুঁকিতে রয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে জরুরী ভিত্তিত্বে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

জগন্নাথপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সুহেল আহমদ বলেন, নলজুর নদীর ওপর দুটি সেতুই স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির। বিকল্প সেতুটি উঁচু করে বসানোর জন্য আমরা দাবী করেছিলাম।জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পৌর কতৃপক্ষ এলজিইডির কাজ করছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প বেইলি সেতুতে পানি উঠে যাওয়া চলাচল বন্ধ হয়েছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *