ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তরুণীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, পরে আবার ওই তরুণীকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষিতা তরুণী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ৫ জনকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চার জন এবং পরে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার মুলহোতা শামীম আহমদকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের ধনাই মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (৪৫), গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ইলাক উদ্দিন (৩৩), জাহির আলীর ছেলে আক্কা হোসেন (৩৫), খাঁনপুর গ্রামের জাফর খাঁনের ছেলে শাহ আলম (২৮) ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সাঞ্জব উল্লার ছেলে কাজল মিয়া (৩৭)। আসামীদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সাত বছর আগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ৬ বছর পর দাম্পত্য বিরোধ দেখা দিলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকে বখাটে শামীম ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এক মাস আগে শামীম তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। শামীমের হাত থেকে বাঁচতে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে চলে যান।

সোমবার রাত ১২টার দিকে বখাটে শামীম তাঁর লোকজনকে নিয়ে মেয়েটির বাবার বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে তার বাড়িতে তুলে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। বৃদ্ধের জখমী ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে এবং পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই অভিযানে নেমে চারজনকে আটক করে।

সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, জানান, ঘটনার খবর পেয়েই আমরা চারজনকে আটক করি এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করি। পরে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকা আরো একজনকে আটক করা হয়। মুল আসামি শামীমকে গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে। মেয়েটির দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে আটককৃত ৫ জনকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে এবং মেয়েটিকে ওসমানী হাসপাতালে পরীক্ষার করা জন্য পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নিখোঁজ মেয়ের কথা জানতে চাওয়া বৃদ্ধ বাবাকে মারধরের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। বুধবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসা ও অপরাধ সংঘঠিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের কাওকে ছাড় দিবোনা। প্রধান আসামী শামীমকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। পরির্দশনকালে সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, জগন্নাথপুর থানার তদন্ত ওসি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, এসআই রফিক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *