ডায়ালসিলেট ডেস্ক:শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটির তিনটি খাতে অনন্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল ক্যাম্পাস সম্মাননা পেয়েছে। শুক্রবার সকালে নিজ কার্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, গত বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারে ‘তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুর রহমান।

ভিসি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং আইসিটি বিভাগ ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’ এর পুরস্কার/সম্মননা উপকমিটি থেকে আমাদের ক্যাম্পাসের ডিজিটালাইজেশন সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইলে আমরা ২৬টি বিষয় লিখে তাদের কাছে পাঠাই। তার মধ্যে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক কম্পিউটার কোর্স চালু, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ক্লাস অ্যাটেনডেন্স অর্থাৎ ফেস রিকগনিশন সিস্টেম চালু ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বায়োমেট্টিক অ্যাটেনডেন্স চালু করা এবং হাঁটতে পারা ও কথা বলতে পারা সামাজিক রোবট ‘লি’ ও ‘রিবো’ তৈরি এই তিনটি কারণে শাবিকে এই সম্মননা দেয়া হয়।

ভিসি আরো বলেন, এটি আমাদের একটি বিশাল অর্জন। আমাদের ক্যাম্পাসকে ডিজিটাল করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই লক্ষ পূরণে আমরা কাজ করেছি। যার ফলে আজ আমাদের এই অর্জন।
ক্যাম্পাসকে ডিজিটালাইজড করতে আমরা পরিশ্রম করেছি তার ফল হিসেবে আমাদের পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি অনলাইনে দেয়ার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদাভাবে প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে ফলে তাদের রেজাল্টসহ বিভিন্ন তথ্য তারা সহজেই অনলাইনে দেখতে পারবে। চলতি বছর আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেই গুলো বাস্তবায়ন হলে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। এক্ষেত্রে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত তৃতীয় সমাবর্তনের বিষয়ে ভিসি বলেন, সবার সার্বিক সহযোগিতার কারণে এত বড় একটি সমাবর্তন আমরা সুন্দরভাবে শেষ করতে পেরেছি। এই সমাবর্তনে বেশ কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি ছিল আগামী চতুর্থ সমাবর্তনে এই সমস্যা থাকবে না। বিশেষ করে খাবারের বিষয়টি আগামী সমাবর্তনে প্রত্যেক বিভাগকে আলাদাভাবে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আইসিটি খাতে উৎকর্ষতা ও অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক ২ বছর আগে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’ পুরস্কারের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মনোনীত হয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *