মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হাঁড় কাঁপানো শীতে সূর্যের দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। তীব্র শীতে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই সাথে বোরো ধানের বীজতলা ও শীতকালীন সবজি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কৃষকেরা জানান, গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে বোরোধানের বীজতলা কিছুটা লাল হয়ে গেছে। এগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শীতকালীন সবজী আলু, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি গাছ নষ্ট হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরোধানে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর। এ ছাড়া ১ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজী, ৫৫৫ হেক্টর জমিতে আলু, ২৭৯ হেক্টর জমিতে টমেটো ও ৪৬৬ হেক্টর জমিতে শরিষা চাষ করা হয়েছে।
কৃষকেরা বোরো ধানের জমি প্রস্তুত করার পাশাপাশি ধানের চারা রোপণ করছেন। এই উপজেলায় আলু কম চাষ হয় এজন্য শীতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, রহিমপুর ইউনিয়ন ও কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় দেখা যায়, বোরোধানের বীজতলা তীব্র শীতের কারনে লাল হয়ে যাচ্ছে। এসব চারাগাছ কিছু দিনের মধ্যে রোপণ করার কথা। এছাড়া আলু সবজি গাছ মরে যাচ্ছে।
পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, আমি প্রায় ৬ একর জমিতে বোরোধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। শীত বাড়ার সাথে সাথে বীজতলা কিছুটা লাল হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকের অভাবে চারা রোপণ করতে পারছিনা।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, তীব্র শীতের কারনে বোরোধানের বীজতলা কিছুটা লাল হতে পারে। তবে পানি দিলে ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়া আলু কিছুটা নষ্ট হতে পারে তবে এখানে আলু চাষ কম করা হয়।

