সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের দোয়ারাবাজারে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নারীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জনেরও বেশি গুলিবিদ্ধ। এদের বেশির ভাগই পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলা সদরের পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। ফের সংঘর্ষে র আশঙ্কায় ওই দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরে নৌকা এবং ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সং ঘ র্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মাছিমপুরের ঈগল মার্কার সমর্থক শামীম আহমদের সঙ্গে পাশের নৈনগাঁওয়ের নৌকার সমর্থক আবুল হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আবুল হোসেনের সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিমপুরের বাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশ রাতে পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
তারা আরও জানান, বুধবার সকালে আবুল হোসেনের দোয়ারাবাজারের বাড়িতে শামীম আহমদের লোকজন হামলা করেন। এ ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে পৌঁছালে আবুল হোসেনের পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে নৈনগাঁও ও পূর্ব মাছিমপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ জানান, নির্বাচনী সহিংসতার জেরে বুধবার দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ছুড়েছে। কত রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে তা হিসাব করা হয়নি। গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

