ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদীর ইজারা বহির্ভূত স্থানে সরকারি আদেশ জারির পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।
একটি চক্র প্রকাশ্যে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে নদীর দুই তীরবর্তী এলাকার বাড়ি-ঘর, আবাদি জমি, গ্রামীণ সড়ক, স্কুল-মাদরাসা ও মসজিদ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন জমা দেন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৬ আগস্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে বালু ও পাথর পাচার বন্ধে অফিস আদেশ জারি হলেও কোম্পানীগঞ্জে তার সুফল মিলছে না।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘ধলাই নদী দক্ষিণ বালুমহাল’-এর ইজারাদার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার সহযোগীরা অফিস আদেশকে পুঁজি করে সড়কে টোলঘর বসিয়ে রয়েলটি আদায় করছেন। এর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে সংরক্ষিত বালুকে বৈধ করার সুযোগ তৈরি করেছেন।
সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের বিপরীতে বসানো টোলঘরে প্রতিঘনফুট বালুর জন্য ৬ টাকা হারে রয়েলটি আদায় করা হচ্ছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে সংরক্ষিত লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু পাচারের পথ সুগম হয়েছে।
আবেদনে শাহ আলম দ্রুত তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট ইজারাদার ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে অবৈধ বালু উত্তোলন, সংরক্ষণ ও পাচার বন্ধ করার আহ্বান জানান।

