ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার উজ্জ্বল হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। সোমবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ওসি মোঃ আব্দুল আহাদ আটক দুই আসামিকে সিলেট বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (অঞ্জন কান্তি দাস) ২য় আদালতে হাজির করেন।আদালতে দুই আসামী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আদালত এরপর তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিহত উজ্জ্বল’র পিতা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে দুই হত্যাকারী এবং হত্যাকারীদের পালাতে সহায়তাকরী ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (৭) তাং- ৭-১২-২০ইং। অপরদিকে উজ্জ্বলের ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে জাফলং রসুলপুর গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে পৌছলে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনরা উজ্জ্বল উজ্জ্বল নাম বলে কাঁদতে কাঁদতে বার বার মুর্চ্ছা যান। সোমবার বাদ এশা জাফলং বিজিবি ক্যাম্পে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। রোববার রাতে ঘটনার খবর শুনে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম নিহত উজ্জ্বলের পরিবারকে নগদ ২০হাজার টাকা আর্থিক সহায়াতা প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, গত রোববারে পর্যটকবেশী দুই ছিনতাইকারীর ফটোগ্রাফার উজ্জ্বলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় । রোববার দুপুরে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকার অদূরে মায়াবী ঝর্ণায় হত্যাকান্ড ও ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। নির্মম এ হত্যাকান্ডের শিকার ওই ফটোগ্রাফারের নাম উজ্জল মিয়া (১৩)। সে উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে এবং স্থানীয় জাফলং আমির মিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে হত্যাকারীদের পালাতে সহায়তাকারী ট্রাক চালক ও হেলপার রয়েছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে নিহত ফটোগ্রাফার উজ্জলের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ১টি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জের ধরমপুর গ্রামের সৈয়দ নুর’র ছেলে এহসান মিয়া ও একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে খসরু মিয়া, বিয়ানীবাজার উপজেলার নওয়াগাওয়ের নুর মিয়ার ছেলে চালক রায়হান এবং একই গ্রামের আলী নুরের ছেলে হেলপার ওলিউর রহমান।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আহাদ জানান, ধৃত দুই আসামী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাসের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *