ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত দুইদিন ধরে অনশন শুরু করছেন বাদাঘাট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। সোমবার (২৪ আগস্ট) সন্ধায় বাদাঘাট (উ.) ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের আ. হকের ছেলে প্রেমিক তায়েফ (২৫) আহমেদের বাড়িতে কলেজ ছাত্রীঅনুশন শুরু করেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন।

প্রেমিকার পরিববার ও থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রেমিক তায়েফ ও কলেজ ছাত্রী প্রেমিকার বাড়ি পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রেমিকার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে প্রেমিক তায়েফ স্থানীয় বাদাঘাট বাজারে যাতায়াত করতো। সেই সুবাদে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকার সাথে তায়েফের প্রায়ই দেখা হতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে জানাশোনা ও পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে প্রায় ২ থেকে ৩ বছর ধরে। এ সময়ের মধ্যে তারা বিভিন্ন স্হানে ঘুরেও বেড়িয়েছেন ।

সোমবার সকালে প্রেমিক তায়েফের অন্যত্র বিয়ের কথা চলছে এমন খবর পেয়ে প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী ঐদিন দুপুরে বাদাঘাট বাজারের হাজী মার্কেটের একটি কসমেটিকসের দোকানে তায়েফের সাথে দেখা করে তারা বিয়ের বিষয় নিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তায়েফ তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক তায়েফের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করে অনশন শুরু করে। এ সময় প্রেমিক তায়েফ বাড়িতেই ছিল।

পরে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে রাত ১১টার দিকে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আহমদ ও শের আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

আলোচনায় কোনো সমাধান না আসায় অনশনরত কলেজছাত্রীকে মল্লিকপুর গ্রামের আছদ্দর মল্লিকের হেফাজতে রাখা হয় এবং সকালে থানার ওসি ও ইউএনও’র উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে জানানো হয়।

কলেজ ছাত্রী প্রেমিকার বাবা ফজলু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তায়েফের বাবা-চাচা সুকৌশলে সময় নিয়ে তার ছেলেকে ভোর বেলা বাড়ি থেকে ভাগিয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ে আছদ্দর মল্লিকের বাড়িতে হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা টালবাহানা শুরু করেছে।

এদিকে, কলেজ ছাত্রী জানায়- প্রেমিক তায়েফের সাথে তার ২ থেকে ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘুরিয়েছে। এখন তায়েফ তাকে বিয়ে না করলে সে বিষপানে আত্মহত্যা করবো।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাতে কলেজ ছাত্রীর বাবা ফজলু মিয়া বাদি হয়ে প্রেমিক তায়েফ, তার বাবা আ. হক ও চাচা যুবলীগ নেতা শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ/০২

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *