ডায়ালসিলেট ডেস্ক:: প্রেম, বিয়ে, সবশেষে প্রেমিকের হাত ধরে প্রেমিকার অজানা উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মেয়ের বাবার অপহরণ মামলায় বাবা ও ছেলে এখন জেলে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (১১ জুলাই) আরিফ হাসান শুভ (২২) ও মাহমুদা আক্তার মুক্তার (১৮) নামে ওই যুগলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আরিফকে জেল হাজতে পাঠায়। এর আগে একই মামলায় গত ২১ জুন প্রেমিক আরিফের বাবা কফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে প্রেমিক প্রেমিকা আটকের এক সপ্তাহ আগে ২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব লাক মিয়ার মেয়ে মাহমুদা আক্তার মুক্তার নিজের ইচ্ছায় প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন, বিয়েও করেছে বলে প্রেমিকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন এবং শশুরবাড়ির লোকজনকে হয়রানি না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এনিয়ে এলাকায় মুখরোচক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আরিফের চাচা জসিম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ের বোলাখালী গ্রামের পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনে ছেলে কলেজপড়ুয়া আরিফ হাসান শুভ সঙ্গে বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী কলেজ পড়ুয়া মাহমুদা আক্তার মুক্তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিনের সেই প্রেমের টানেই ৪ মাস আগে তারা বিয়ে করেন।
এ বিয়ের বিষয়ে মেয়ে বাড়িতে জানালে মেনে নেয়নি মেয়ের বাবা। মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলে গত ১৬ জুন পরিবারের সবার অজান্তে রাতের আধারে প্রেমিক আরিফের হাত ধরে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় মাহমুদা আক্তার মুক্তার।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, আহসান হাবিব লাক মিয়া তার মেয়েকে অপরহরণ করা হয়েছে বলে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর পরেই তাদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আরিফকে জেল হাজতে পাঠান।
ডায়ালসিলেটএম/১১

