ডায়াল সিলেট ডেকস

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও সীমান্তবর্তএী লাকায় বিএনপি নেতার ভাই, ভগ্নিপতি ও ঘনিষ্ঠজনদের বাড়ি থেকে ডাকাতির হওয়া ২০টি গরু উদ্ধার হয়েছে। গরুগুলো ফেরত দেওয়ার সময় ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছে।

ঘটনা মঙ্গলবার গভীর রাতের। গরু ব্যবসায়ী বাহার উদ্দিন ও দাতিয়াপাড়া গ্রামের জিল্লু মিয়া  মধ্যনগর উপজেলার মহিষখলা বাজার থেকে ২০টি গরু ক্রয় করে ট্রলারে করে নিজ এলাকায় ফিরছিলেন। ট্রলারটি ঘাট ছাড়ার পরপরই ২৫-৩০ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে গরু ব্যবসায়ীদের ওপর আক্রমন চালিয়ে ট্রলার থেকে সব গরু লুট করে নেয়।

পরদিন বুধবার গরুর মালিকরা আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাওরে বিভিন্ন স্থানে গরু খোঁজতে শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে তথ্য পেয়ে তারা কলাগাঁও এলাকায় তিনটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করেন। শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি আলালের বাড়ি থেকে ১০টি, ছোট ভাই আইন উদ্দিনের বাড়ি থেকে ৬টি এবং যুবদল কর্মী এমরান কর্তৃক কসাই সাইকুলের বাড়িতে রাখা ৪টি গরু উদ্ধার হয়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গরু উদ্ধারের পর শামসুদ্দিনের ভাইয়ের ছেলে রাজু তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, “ডাকাতি কারা করেছে, তা বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন ভালো করেই জানেন। কারণ তার ঘনিষ্ঠজনদের বাড়ি থেকেই গরুগুলো উদ্ধার হয়েছে।”

তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামসুদ্দিন বলেন, “বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। এখন আর পত্রিকায় লেখালেখির দরকার নেই।”

এদিকে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই পঙ্কজ দাস জানিয়েছেন, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ নেই।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আনিসুল হক বলেন, “অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। দল কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না।”

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *