ডায়ার সিলেট ডেস্কঃ-
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর আয়োজনে অনুষ্টিত হয় সনাতনী সমাবেশ । এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,ভারতের রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগানো হতে পারে ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্য, ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন। তাহলে রাজনৈতিক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। এজন্যই আমাদের সবাইকে জাতীয় স্বার্থে সজাগ থাকতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মানুষ বা ধর্ম কখনো সাম্প্রদায়িক নয়, কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা হয়, যাতে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরে যায়।’ এর উদাহরণ হিসেবে তিনি ১৯৮৮ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার শেকড় এ উপমহাদেশে বহু পুরনো, যা রাজনৈতিক কৌশল ও গুজবের মাধ্যমে উসকে দেওয়া হয়।’ ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু; হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে।’ এ সময় সব মন্দির দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানান তিনি ।
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে আওয়ামী লীগ পটু- দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়েও নিবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।

