Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়ালসিলেটঃঃ
বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা জলের জলাভূমির বনাঞ্চল রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, গোয়াইনঘাট, সিলেট যার সঙ্গে তুলনা চলে এক্মাত্র আমাজনের। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, সারা পৃথিবীতে স্বাদু পানির জলাবন আছে মোট ২২ টি,এর মধ্যে একটি হলো রাতারগুল।সিলেট থেকে দেশের একমাত্র স্বীকৃত এই ফরেস্টের দূরত্ব মাত্র ২৬ কিলোমিটার।বর্ষায় চেঙ্গির খালের পানি গোয়াইন নদীর সাথে এক হয়ে এ বনকে প্লাবিত করে। প্লাবনে এ বন তার অপরূপ সৌন্দর্য মেলে ধরে। তাই বর্ষা মৌসুমেই এখানে ঘুরতে যাওয়ার সবচেইয়ে উপযুক্ত সময়। প্রতি বছর এ সময় দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটক ভীড় করেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে।
এখন থেকে সিলেটের রাতারগুলে প্রবেশ, ভিডিও ধারণ ও নৌকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারকে নির্ধারিত ফি দিতে হবে। এরই মধ্যে ফি নির্ধারণ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, রাতারগুল বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশ ফি ৫০ টাকা, অপ্রাপ্তবয়স্ক (১২ বছরের নিচে) ও পরিচয়পত্রধারী ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশ ফি ২৫ টাকা। বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ ফি ৫০০ টাকা। প্রতিদিনের ফিল্মমিং ফি (প্রতি ক্যামেরা) ১০ হাজার টাকা।
দেশি দর্শনার্থীদের প্রতিবার নৌকা (ইঞ্জিনবিহীন) ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশিদের দিতে হবে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া বাস বা ট্রাকের প্রতিবারের পার্কিং ফি ২০০ টাকা। পিকআপ/জিপ/কার/মাইক্রোবাস পার্কিং ফি ১০০ টাকা এবং সিএনজি/মোটরসাইকেল পার্কিং ফি ২৫ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এই ফি নির্ধারণ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে রাতারগুলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ অনেকটাই বন্ধ ছিল। ১ নভেম্বর থেকে তা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এখন এই নির্ধারিত ফি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

