শাল্লা প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট’ (ভিজিডির) সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে ৫নং ওয়ার্ডের উপকারভোগীদের আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ২টায় শাল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মানববন্ধন মুক্তারপুর গ্রামের উপকারভোগী নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মনি রাণী দাশ, আয়েশা বেগম, স্বপ্না রাণী দাশ, ঝুলন রাণী পুরকায়স্থ, হেপি রাণী দাশ, সুমনা রাণী দাশ, রুমা রাণী দাশ, মালঞ্চ রাণী দাশ প্রমুখ।
এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ০৫ নং ওয়ার্ডের ভিজিডির তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীসহ এলাকার সচেতন নাগরিকবৃন্দ। এর পূর্বে একটি মৌন মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়৷
এ বিষয়ে বাহাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরীর মুঠোফোনে বারংবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি, এমনকি ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মানববন্ধন হয়েছে আমি শুনেছি। এই বিষয়ে তারা (উপকারভোগী) এর আগে আমার কাছে আসছিলেন। আমি সাবেক চেয়ারম্যানের (বিধান চৌধুরী) সাথে কথা বলছি। উনি বলছেন উপকারভোগীর টাকা দিয়ে দিবেন। যেহেতু বলার পরেও টাকা দেননি এখন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপকার ভোগীদের ভাষ্যমতে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি হইতে ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ইং পর্যন্ত ২ বছর মেয়াদের ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অতি দরিদ্র মহিলাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হতো এবং উপকারভোগীদের দেওয়া ২০০ টাকা করে সঞ্চয় রাখা হতো। জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা মেয়াদ শেষে উপকারভোগীদের নিকট ফেরত দেওয়া হয়। ৫নং ওয়ার্ডের ৯৮ জন মহিলাদের জনপ্রতি দুই বছরে জমাকৃত ৪ হাজার ৮০০ টাকা করে মোট ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৪০০ টাকা সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী ফেরত দেওয়ার কথা বললেও তিন বছর হয়ে যায় এখন পর্যন্ত অসহায় দরিদ্র মহিলাদের টাকাগুলো দেননি।

