ডায়ালসিলেট :দুই সপ্তাহ পর সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শুরু হয়েছে জরুরি সেবা কার্যক্রম। আপাতত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে চালু হবে সব সেবা। গত ৫ আগস্ট ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচ তলায় দুটি ডেস্ক বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে জরুরি সেবা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের চার তলা ভবনের বেশিরভাগ অংশজুড়েই এখনও ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের চিহ্ন রয়েছে। ভবনের নিচ তলায় দুটি সার্ভিস ডেস্ক থেকে চালু করা হয়েছে জরুরি সেবা কার্যক্রম।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পুলিশ সুপারের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জরুরি সেবা পাননি সিলেটবাসী। ২০ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলে। দ্রুত সব সেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।স্থানীয়রা বলছে, প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র পুড়ে গেছে বলে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে নতুন করে সব প্রয়োজনীয় কাগজ প্রিন্ট দিয়ে কাজ চালাতে হবে। এ জন্য কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগছে।
কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় সব সেবা এখনই চালু করা যাচ্ছে না। আর পুলিশ লাইন্স থেকে চালানো হচ্ছে দাপ্তরিক কাজ।
সিলেট সহকারী পুলিশ সুপার সম্রাট তালুকদার বলেন, সব সেট-আপ শেষ করে পুরোদমে কাজ শুরু হতে আরও সময় লাগবে। তবে জরুরি যে পরিষেবাগুলো রয়েছে যেমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট প্রদান ইত্যাদি কাজগুলো স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে।
ভবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের পাশাপাশি সংস্কারের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হবে তা এখনও বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

