ডায়ালসিলেট ডেস্ক:: ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচার শুরু হলো।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বুধবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই পার্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য দেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, তার বাসার নিজ হেফাজতে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। ওই অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
অর্থাৎ ওই অর্থ তার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত অবৈধ অর্থ বলে প্রতীয়মান হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিয়ে অনুসন্ধান টিম ঢাকার কলাবাগান গ্রীন রোডের তার আবাসিক বাসায় (ডমিনো প্লানেটা, বি-৬, ২৭-২৮ নর্থ রোড) অভিযান চালায়। অভিযানে তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই অর্থ উপার্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ২৯ জুলাই পার্থ বণিকের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে তার বিরুদ্ধে ওই দিনই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করা হয়। মামলা ও গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ওই দিনই চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চার্জশিটে ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে মামলার পরই তাকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করে দুদক। আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

