নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ছাতক থানা পুলিশ।

এর আগে  গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী ঐ তরুণীরে স্বামী।

এতে এম সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে মামলা করে ভোক্তভোগী স্বামী। এদের মধ্যে আরো চারজন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা হলেন মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। মামলার আসামীদের মধ্যে আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। এরা সবাই (টিলাগড়ের গ্রুপের) ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন মিলে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে বেধে আটকে রেখে  গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গৃহবধূকে উদ্ধার করে শাহপরাণ থানা পুলিশ। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।

ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। আজ রবিবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধর্ষক সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *