ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে ধর্ষণ প্রচেষ্টা থেকে বাঁচলো কলেজ ছাত্রী। গাড়ির চালক ও হেলপার মিলে গাড়ির ভেতরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। দিরাই পৌর সদরের বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী সম্ভ্রম বাঁচাতে দিশেহারা হয়ে গাড়ি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শনিবার দুপুরে দিরাই মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কলেজ ছাত্রীকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত ওই কলেজ ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে কলেজ ছাত্রীর স্বজন ও থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন। পুলিশ বাসটি আটক করেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এদিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দিরাই থানা পয়েন্টে প্রায় আধা ঘন্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা।
কলেজ ছাত্রীর চাচা জানান, তার ভাতিজি সিলেটে তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল। তার বোন জামাই ফাহাদ এন্ড মাইশা পরিবহন নামের ( নম্বর সিলেট জ- ১১-০৭২৩) একটি লোকাল বাসে তাকে তুলে দেয়। পথিমধ্যে গাড়ির যাত্রীরা একে একে নেমে গেলে গাড়িটি এক পর্যায়ে ফাঁকা হয়ে যায়। লোকাল বাস হলেও নতুন যাত্রী উঠানো থেকে বিরত থাকে গাড়ির স্টাফরা। এক পর্যায়ে চালক ও হেলপার তার ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। উপায়ান্তর না পেয়ে সে সুজানগর এলাকায় গাড়ি থেকে সে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়।
দিরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিদ্যুৎ দাস বলেন, মেয়েটির মাথায় হাতে জখম ছিল। তাকে সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, দিরাই বাস স্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

