ডায়ালসিলেট ডেস্ক:বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ম. হামিদ বলেছেন আবহমান বাংলার হাজার বছরের লোকজ ঐতিহ্য আমাদের বর্ণিল সুস্বাদু পিঠাপুলি। জাতিসত্ত্বার পরিচয়ের বহু বিচিত্র ধারার মধ্যে খাদ্যাভ্যাসও একটি। রুচি, আকৃতি ও প্রস্তুত প্রণালীর দিক থেকে বাঙ্গালির পিঠা শিল্পের রুপ পেয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বাঙ্গালির এই হাজার বছরের ঐতিহ্যকে নগরজীবনে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ বিগত ১৩ বছর ধরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় জাতীয় পিঠা উৎসব আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রথম বারের মত এই উৎসব দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিতে ঢাকার বাইরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার প্রথম আয়োজন হতে যাচ্ছে পূণ্যভূমি সিলেটে।
তিনি আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি ৪দিন ব্যাপি সিলেটের রিকাবীবাজারস্থ জেলা আউটার স্টেডিয়ামে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন করা হবে বলে জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ এর উদ্যোগে আয়োজিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাকক্ষে সিলেটের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সূধিজনদের সাথে মতবিনিময় ও প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব খন্দকার শাহ আলমের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ তমাল, সিলেট সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখ।
সভায় জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আজিজ আহমেদ সেলিমকে আহবায়ক ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তকে সদস্য সচিব করে সিলেট বিভাগীয় উদযাপন পরিষদ ঘোষণা করা হয়। পরিষদের যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ হলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রী নির্বাহী সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি শামসুল আলম সেলিম, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য এ জেড রওশন জেবিন রুবা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশু।
সভায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।

